এই প্রথম নয়, এর আগে আরও চারবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর হামলার অভিযোগ ওঠে। এদিন এনজেপি থেকে হাওড়ামুখী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Howrah NJP Vande Bharat) বোলপুর (Bolpur) স্টেশনে ঢুকলে যাত্রীরা ট্রেনের উপর পাথর হামলা অভিযোগ তোলেন। দেখা সেমি হাইস্পিড এই ট্রেনের C6 কোচের ৭০ এবং ৭২ নম্বর সিটের কাছে জানলার কাচে বিশাল ফাটল ধরেছে। জানা গিয়েছে, সাংঘাতিক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তাদের একাংশের অভিযোগ বিকেল ৫-৫৫ নাগাদই মালদা টাউন স্টেশনেই আরপিএফকে পাথর ছোড়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন তাঁরা।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ঢিল বা পাথর ছোড়ার ঘটনা নিয়ে এর আগে বহুবার উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ৩০ জানুয়ারি হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলার প্রথম বুলেট ট্রেন। মাতৃ বিয়োগের কারণে ভার্চুয়ালি এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুরুর মুহূর্ত থেকেই বিতর্ককে সঙ্গী করে চাকা গড়ায় বাংলার প্রথম বুলেট ট্রেন হাওড়া এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। বারবার পাথর হামলার শিকার হওয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে ঘিরে চলেছে শাসক বিরোধী কাদা ছোড়াছুড়ি।
যাত্রার দ্বিতীয় দিনেই পাথর হামলার শিকার হয় বন্দে ভারত। তারপর আবারও তৃতীয় দিনের ফিরতি ট্রেনে হয় পাথর হামলা। সিসিটিভি পরীক্ষা করে দেখা যায় বিহারের কিষাণগঞ্জের কাছে কয়েকজন কিশোর ট্রেনে পাথর ছুঁড়েছে। চারজন নাবালককে আটকও করে পুলিশ। এরপর আবারও বন্দে ভারতে যাত্রীরা পাথর হামলার অভিযোগ তুললেও পূর্ব রেলের তরফে কোনও অভিযোগেরই সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। তৃতীয় হামলার অভিযোগের পর কামরার কাচের ক্ষত পরীক্ষা করে দায়িত্বে থাকা আধিকারিকেরা জানিয়েছিলেন, বন্দে ভারত কামরার জানলার কাচে ওই ক্ষতের কারণ ঢিল বা পাথরের আঘাত নয়। বেশ কয়েকদিনের ব্যবধানে এদিন ফের উঠল পাথর হামলার অভিযোগ।