West Bengal Government School : শিক্ষিকার বদলির খবরে পা ধরে আকুল কান্না পড়ুয়াদের, স্নেহের এক অন্য ছবি বসিরহাটে – uttar 24 parganas haroa school students breaks into tears as one teacher get transfer


‘হৃদমাঝারে রাখব, ছেড়ে দেব না…’
নির্দেশ এসেছে, বদলি হয়ে যাচ্ছেন শিক্ষিকা। কিন্তু, সেই নির্দেশ মানতে রাজি নন ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষিকার পায়ে পড়ে গেলেন তাঁরা। এই আবেগঘন দৃশ্য দেখা গেল উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটে হাড়োয়া ব্লকের মল্লিকপুর খেজের আলী স্মৃতি অবৈতনিক বিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, গত এক বছর আগে এই স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেছিলেন কাকলি মণ্ডল। অল্প সময়েই ছাত্রছাত্রীদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। শুধু পুঁথিগত শিক্ষা নয়, নৈতিক শিক্ষা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মানুষ করে তোলাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। এদিকে এক বছরের মাথায় কাকলি মণ্ডলের বদলির নির্দেশ এসেছে। কিন্তু, স্কুলের ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী, ৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকা সহ অভিভাবকরা এই সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। পড়ুয়ারা চোখের জলে শেষ চেষ্টা করলেন। শিক্ষিকার পা আগলে ধরে বসলেন।

Consumer Frauds: ৫০০ টাকা নিয়ে ১০৭ টাকার তেল! কারচুপির অভিযোগে বামনগাছির পেট্রল পাম্পে হইচই
পড়ুয়াদের কথায়, “কাকলি দিদিমনি আসার পর থেকেই নিজের সেরাটি দিয়ে তিনি পড়িয়েছেন। তাঁর চেষ্টায় স্কুলে পড়াশোনার মান অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি স্কুল ছেড়ে চলে যাবেন তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।” এই ঘটনায় রীতিমতো আবেগে ভাসছেন অভিভাবকরাও। তাঁরা চায়ছেন, সন্তানদের দাবি মেনে এই শিক্ষিকাকে স্কুলেই রাখতে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সাবিরা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, কাকলি মণ্ডলের বদলির খবর শোনার পর থেকেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সিদ্ধান্তটি না মানার একটা প্রবণতা দেখা গিয়েছে। শিক্ষিকাকে যাতে বদলি না হয় সেই জন্য অতিরিক্ত স্কুল পরিদর্শক আধিকারিকের কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান প্রধান শিক্ষিকা। সেক্ষেত্রে এই আবেদন মেনে কি ঠেকানো যাবে এই শিক্ষিকার বদলি? এখন সেই দিকেই তাকিয়ে ছাত্রছাত্রীরা।

Primary School : স্কুলে মদ্যপ শিক্ষক! অবিলম্বে বদলির দাবিতে সরব অভিভাবকরা
এদিকে ভালোবাসায় ভাসতে থাকা শিক্ষিকার চোখে জল। ছলছল চোখে কাকলি মণ্ডল বলেন, “সরকারি নির্দেশকে কোনওভাবেই অমান্য করা সম্ভব নয়। শিক্ষা দফতরের তরফে আমাকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আমি তা মান্য করব।” কোনও সরকারি নির্দেশের অমান্য তিনি করবেন না তা স্পষ্ট জানিয়েছেন এই শিক্ষিকা। কিন্তু, ছাত্রছাত্রীদের থেকে এভাবে অফুরান ভালোবাসা পাবেন, তাও ভাবতে পারেননি এই শিক্ষিকা। এই ভালোবাসা পেয়ে কার্যত আপ্লুত তিনি। শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের সম্পর্ক বরাবর ভালোবাসা, স্নেহ, সম্মানের। কিন্তু, সাম্প্রতিক কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা শিরোনামে উঠে এসেছিল। কিন্তু, কাকলি মণ্ডলের জন্য তাঁর ছাত্রছাত্রীদের এই আকুলতা কার্যত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *