শেষমেশ ফজিলা বিবি’র ছেলে দুই বোনকে মা’কে শেষবারের মতন দেখা করানোর আর্তি নিয়ে BSF-র শরণাপন্ন হন। আর্জি শুনে এগিয়ে আসেন BSF আধিকারিকরা। বিষয়টি শোনার পরে BSF আধিকারিকরা যোগাযোগ করেন বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষী বাহিনী BGB বা বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ-এর সঙ্গে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফজিলা বিবির মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার হাট খোলা গ্রামের জিরো পয়েন্টে (Zero Point)। BSF মৃতদেহ নিয়ে হাজির হলে, BGB ফজিলা বিবির দুই মেয়েকে নিয়ে হাজির হয়। ফজিলা বিবিকে শেষ দেখামাত্রই কান্না ভেঙে পড়েন তাঁর দুই মেয়ে।
সীমান্তের কাঁটাতার মা ও মেয়েদের বিচ্ছিন্ন করে রাখলেও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী BSF ও BGB ফজিলা বিবি’র অন্তিম কালে মা এবং মেয়েদের এক করে দিল। দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল ফাজিলা বিবির অন্তিম সময়ের এই ঘটনা। এই বিষয়ে সাহায্য করার জন্য দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেই অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন মৃত ফজিলা বিবি’র ছেলে। এদিন জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “মা হঠাৎ মারা যাওয়ার পরে দুই বোনকে কিভাবে দেখাব বুঝতে পারছিলাম না। কারন সমস্ত কাগজপ্ত্র সই সাবুদ মিটিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে বেশ কয়েকদিন লেগে যায়। সেই জন্যই BSF-র কাছে যাই। তাঁরা আমার অবস্থার কথা মন দিয়ে শোনেন, ও সাহায্য করার আশ্বাস দেন। আজ ওনাদের জন্যই আমার দুই বোন মা’কে শেষবারের মতন দেখতে পেল”।