BSF : দেড় বছর আগে দেখা, BSF ও BGB-র মানবিকতায় শেষযাত্রায় মাকে দেখলেন দুই মেয়ে – nadia two sister can see their mother after her death with help of bsf and bgb


West Bengal News : দেড় বছর আগে শেষ দেখা হয়েছিল মা’র সঙ্গে। মা থাকতেন ভারতে (India), আর দুই মেয়েই বিয়ের পর চলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে (Bangladesh)। বছর দেড়েক আগে ভারতে (India) মা’র কাছে বেড়াতে এসেছিলেন দুজনেই। সেখানে কিছুদিন থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) শ্বশুরবাড়ি ফিরে যান দুই বোন। সেটাই ছিল মার সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ। এরপর আর মা বেঁচে থাকাকালীন ভারতে নিজের বাড়িতে আসতে পারেনি দুই বোন। মা ফজিলা বিবি, থাকতেন ভারতে। দুই মেয়ে রাবিয়া বিবি ও সখেরা বানু থাকে বাংলাদেশের কুতুলপুর ও কুতুবপুরে। এরই মধ্যে শুক্রবার আচমকাই নদিয়া (Nadia) জেলার শক্তিনগর হাসপাতালে মৃত্যু হয় মা ফজিলা বিবি’র। মা’র মৃত্যুর খবর যায় বাংলাদেশে মেয়েদের কাছে। মাকে শেষ দেখা দেখার জন্য কেঁদে আকুল হন রাবিয়া ও সখেরা দুই বোন।

Birbhum News : মানবিক পুলিশ! মাতৃহারা ২ শিশুর ‘দায়িত্বভার’ নিলেন OC
শেষমেশ ফজিলা বিবি’র ছেলে দুই বোনকে মা’কে শেষবারের মতন দেখা করানোর আর্তি নিয়ে BSF-র শরণাপন্ন হন। আর্জি শুনে এগিয়ে আসেন BSF আধিকারিকরা। বিষয়টি শোনার পরে BSF আধিকারিকরা যোগাযোগ করেন বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষী বাহিনী BGB বা বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ-এর সঙ্গে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফজিলা বিবির মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার হাট খোলা গ্রামের জিরো পয়েন্টে (Zero Point)। BSF মৃতদেহ নিয়ে হাজির হলে, BGB ফজিলা বিবির দুই মেয়েকে নিয়ে হাজির হয়। ফজিলা বিবিকে শেষ দেখামাত্রই কান্না ভেঙে পড়েন তাঁর দুই মেয়ে।

Deputy NSA: ড্রোন ধ্বংসের হাতিয়ার দেন BSF-কে, ডোভালের সহকারীর ভয় কাঁটা পাকিস্তান
সীমান্তের কাঁটাতার মা ও মেয়েদের বিচ্ছিন্ন করে রাখলেও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী BSF ও BGB ফজিলা বিবি’র অন্তিম কালে মা এবং মেয়েদের এক করে দিল। দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল ফাজিলা বিবির অন্তিম সময়ের এই ঘটনা। এই বিষয়ে সাহায্য করার জন্য দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেই অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন মৃত ফজিলা বিবি’র ছেলে। এদিন জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “মা হঠাৎ মারা যাওয়ার পরে দুই বোনকে কিভাবে দেখাব বুঝতে পারছিলাম না। কারন সমস্ত কাগজপ্ত্র সই সাবুদ মিটিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে বেশ কয়েকদিন লেগে যায়। সেই জন্যই BSF-র কাছে যাই। তাঁরা আমার অবস্থার কথা মন দিয়ে শোনেন, ও সাহায্য করার আশ্বাস দেন। আজ ওনাদের জন্যই আমার দুই বোন মা’কে শেষবারের মতন দেখতে পেল”।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *