West Bengal Local News: বেশ কয়েকদিন ধরের খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা অভিনেতা তথা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (Hiran Chatterjee) তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা ছড়ি্য়েছে। বেশ কয়েরদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিট অফিসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন হিরণ এমন জল্পনাও ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির সঙ্গে হিরণের একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। এবার হিরণ প্রসঙ্গে মুখ খুলে জল্পনা আরও বাড়ালেন বারাসতের তৃণমূলের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিৎ দীপক চক্রবর্তী। হিরণের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘জল্পনা থেকে কল্পনা হয়, তারপরেই হয় সম্ভাবনা হয়। হিরণ আমাদের ছেল ছিল। আবার গিয়েছে, ফিরে আসবে। এটাই হবেই। কেন ওখানে থাকবে? তৃণমূল যদি পাঁচ মিনিটের জন্য দরজা খুলে দেয় তবে বিজেপি পার্টিটাই উঠে যাবে। কিন্তু, দরজা খোলা হয়নি। হিরণকেও এখনই যোগদান করানো হবে না। কোনও ঘোষণাও নেই। আগে সম্ভাবনা হোক, তারপর ভাবা যাবে। আমি দাঁতনে গিয়েছিলাম। তখন একজন আমাকে বলেছে যে হিরণ ফিরে আসতে চায়।’
Hiran Chatterjee: পদ্ম ছেড়ে তৃণমূলে হিরণ? ছবি ভাইরাল হতেই মুখ খুললেন BJP বিধায়ক
বারাসাত ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে অষ্টমতম বর্ষের রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন চিরঞ্জিৎ। হিরণ প্রসঙ্গে মুখ খোলার পাশাপাশি দিদির দূত নিয়েও বিরোধীদের করা কটাক্ষের উত্তর দেন বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক। ‘বিরোধীরা কারও কাছে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না বলেই এই কথা বলছে। বিরোধীদের লোকজন নেই, চিরকাল যা বলে তাই বলছে। দিদির দূত হয়ে আমরা মানুষের প্রয়োজনের কথা শুনতেই যাচ্ছি। মানুষের কাছে গিয়ে জানা যাবে, তারা প্রত্যেকে চার থেকে পাঁচটা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। তাছাড়াও মানুষের যদি কোনও অসুবিধা থাকলে তারা বলতেই পারে। আমরা এমনিই মানুষের পাশে থাকি। তাদের যা প্রয়োজন দেওয়া হবে।’
Hiran Chatterjee: পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে কামব্যাক হিরণের? মুখ খুললেন এক ফ্রেমে থাকা তৃণমূল নেতা
রক্তদান শিবিরের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘গুজরাট দাঙ্গার জন্য দায়ী মোদী। সেই দাঙ্গায় যত মানুষে মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করা হয়, আসলে তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একসময় পৃথিবীর সব জায়গায় জবাবদিহি করতে হবে… এখনও পর্যন্ত আচ্ছে দিন এর নামে যে কটি কথা বলেছেন কোনওটাই দেখা যাচ্ছে না, বরঞ্চ ভয়ানক রকম ভাবে দুর্দশার মধ্যে রয়েছে ভারতবর্ষ। নোট বাতিল করেছে। এমনকী ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার নাম করেও টাকা দেয়নি।’