ব্রিটিশ আমলে ১৯৩৪ সালে চিৎপুর সেতু তৈরি করা হয়েছিল। মহানগরের প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলির মধ্যে চিৎপুর ব্রিজ অন্যতম। ২০১৯ সালে টালা ব্রিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই এই ব্রিজের ওপর যানবাহনের চাপ অনেকটাই বেড়ে যায়। টালা ব্রিজ তৈরির সময়ই একাধিকবার চিৎপুর ব্রিজের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেছিল KMDA। তখনই এই ব্রিজ নতুন করে তৈরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
KMDA সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সেতুর নীচে বসবাসকারী পরিবারগুলির পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পুনর্বাসনের জন্য মূলত দুটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রয়োজনে রেলের কাছ থেকে জমি চাওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সেতু ভাঙার কাজ কবে থেকে শুরু হবে? KMDA সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী মাস থেকে ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু করতে চাইছে তারা। তবে সেক্ষেত্রে যানচলাচল ও অন্যান্য বিষয় গুলি সঠিকভাবে পরিচালনা করার বিষয়ও রয়েছে। সেই কারণে খুব দ্রুত কলকাতা পুরসভা, কলকাত পুলিশ ও রেলের সঙ্গে বৈঠক করবেন KMDA আধিকারিকরা। সেখানে ব্রিজ ভাঙার কাজ কবে থেকে শুরু হবে, সেই নিয়ে আলোচনা করা হবে।
গতবছর দুর্গাপুজোর আগে টালা ব্রিজের উদ্বোধন হয়েছিল। ২০১৯ সালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা পাশ করতে না পারার কারণে টালা ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মোটা ৪৬৫ কোটি টাকা খরচে এই ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। মোট ১৫০০ শ্রমিক অক্লান্ত পরিশ্রম করে টালা ব্রিজ তৈরি করেন। টালা ব্রিজ খুলে যাওয়ার ফলে শহরতলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ অনেকটাই সহজ হয়েছে।
