শুক্রবার গোধূলি বেলায় দক্ষিণেশ্বরে গঙ্গা আরতির (Ganga Aarti) বিশেষ আয়োজন করে মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেখানে শাস্ত্রীয় সংগীত ভক্তিগীতি প্রভৃতির মাধ্যমে করা হয় মাতৃ বন্দনা। দক্ষিণেশ্বরে আগে থেকেই গঙ্গা আরতির (Ganga Aarti) প্রচলন ছিল, তবে গতকাল বিশেষভাবে আয়োজন করে মন্দির কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার গোধূলি বেলায় পুরুষ ও মহিলার একটি দল মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে করে মাতৃ বন্দনা। তার সঙ্গে সঙ্গে হয় গঙ্গা মায়ের আরতি।
গোধূলি বেলায় গঙ্গা আরতির পর মন্দির প্রাঙ্গনে সন্ধ্যায় বিশেষ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তারপর রাত সাড়ে নটা থেকে শুরু হয় রটন্তী কালী পুজো, তাই মন্দির প্রাঙ্গণ কে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছিল। তবে ভক্তদের জন্য রাতে মন্দির চত্বর খোলা ছিল না, মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের পথ স্মরণ করে এই দিনের এই পূজা অনুষ্ঠিত হয় মন্দির প্রাঙ্গণে। অনুষ্ঠানে উৎসাহী মানুষের ভিড় ও ভক্ত সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতন। এই বিষয়ে দক্ষিণেশ্বর মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, “মন্দিরে গঙ্গারতি দীর্ঘদিন ধরে হয়ে থাকে। গোধূলি লগ্নে হয়। আমরা এই আরতিটাকেই আরও বড় আকারে মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে করার ব্যবস্থা করেছি। ১৬০ বছরের সুদীর্ঘ যাত্রা পথে তিনটে কালীপূজো হয়। দীপান্বিতা, ফলহারিনি আর রটন্তী কালীপূজা হয়। আমরা মাতৃ বন্দনা করব। কোভিড পরিস্থিতির আগে এই ধরনের অনুষ্ঠান হয়েছিল, আবার আজ থেকে চালু হয়েছে। তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার, সুনীল ওয়াকারজি থাকছেন। গঙ্গার বান চলে যাওয়ার পরপর পুজো শুরু করব।”
