ISF : আরাবুলের গ্রেফতারির দাবিতে ধর্মতলায় অবস্থানে ISF, নাজেহাল জনতা – isf demands arabul islam arrest protest going on at esplanade


প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন ফের একবার রাজ্য রাজনীতিতে শিরোনামে উঠে এল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। ভাঙড়ের হাতিশালায় ISF-এর একটি সভায় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। বচসায় জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল এবং ISF। দুই দলের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। সেই আঁচ এবার এসে পড়ল ধর্মতলাতেও। ISF কর্মী সমর্থকদের অবস্থান বিক্ষোভে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র। গোটা ধর্মতলা চত্বরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ নওশাদ সিদ্দিকি ও তাঁর দলের লোকজনের বিরুদ্ধে। পুলিশ গোটা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করতে এলে তাঁদের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা।আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারের দাবি তুলে ধর্মতলা অচল করে দিয়েছে ISF। এর জেরে দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ISF কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করল পুলিশ। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। নওশাদ সিদ্দিকে গ্রেফতার করে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

অবরুদ্ধ একাধিক রাস্তা

কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘক্ষণ হতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ধর্মতলা চত্বরে। গাড়ি আটকে রয়েছে ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, রেড রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, লেনিন সরণি, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। দক্ষিণমুখী গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশ দিয়ে। উত্তরমুখী গাড়ি ঘোরানো হচ্ছে পার্ক স্ট্রিট ক্রসিং থেকে। অফিস ফেরতা যাত্রীদের নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে।

TMC-ISF Clash : ভাঙড়ে অশান্তি অব্যাহত, একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূল-ISF
কেন উত্তপ্ত ভাঙড়?

ঘটনার সূত্রপাত ভাঙড়ের হাতিশালায়। শনিবার প্রতিষ্ঠা দিবসে ট্রাকে করে ধর্মতলায় দলের সমাবেশে যোগদান করতে যাচ্ছিলেন দলের কর্মী সমর্থকরা। তখন হাতিশালা মোড়ে গাড়ি থেকে নেমে দলীয় পতাকা বাঁধতে যান কর্মীরা। পতাকা বাঁধতে বাধা দেয় সেখানে থাকা তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সেই থেকেই ঝামেলার শুরু। এরপর আগুন জ্বলে ওঠে ভাঙড়ে (Bhangar)। গুলি ও বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তৃণমূলের (Trinamool Congress) একটি পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ISF-র বিরুদ্ধে। এদিকে, ISF কর্মীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার জন্য ভাইজানের কর্মী সমর্থকদের নিশানায় আরাবুল ইসলাম। ফলে অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন তাঁরা।

TMC-ISF Clash : পতাকা লাগানো নিয়ে অশান্তি, TMC-ISF সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভাঙড়
কী বক্তব্য নওশাদের?

গোটা ঘটনা নিয়ে ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি (MLA Nawsad Siddique) বলেন, “পুলিশ চাইলে এই সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতেই পারত। আমাদের একের পর এক গাড়িতে তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আমাদের সমর্থকদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। গাড়ি থেকে নেমে পালটা ধাওয়া করলে তৃণমূলের লোকেরা পালিয়ে যায়। আমাদের সমর্থকরা প্রথম থেকে কোনও ঝামেলার মধ্যে জড়াতে চাননি। প্রথমে তৃণমূল সমর্থকরাই আমাদের কর্মীদের হাতিশালা মোড়ে পতাকা বাঁধতে বাধা দেয়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় আমাদের।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *