অবরুদ্ধ একাধিক রাস্তা
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘক্ষণ হতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ধর্মতলা চত্বরে। গাড়ি আটকে রয়েছে ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, রেড রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, লেনিন সরণি, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। দক্ষিণমুখী গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশ দিয়ে। উত্তরমুখী গাড়ি ঘোরানো হচ্ছে পার্ক স্ট্রিট ক্রসিং থেকে। অফিস ফেরতা যাত্রীদের নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে।
কেন উত্তপ্ত ভাঙড়?
ঘটনার সূত্রপাত ভাঙড়ের হাতিশালায়। শনিবার প্রতিষ্ঠা দিবসে ট্রাকে করে ধর্মতলায় দলের সমাবেশে যোগদান করতে যাচ্ছিলেন দলের কর্মী সমর্থকরা। তখন হাতিশালা মোড়ে গাড়ি থেকে নেমে দলীয় পতাকা বাঁধতে যান কর্মীরা। পতাকা বাঁধতে বাধা দেয় সেখানে থাকা তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সেই থেকেই ঝামেলার শুরু। এরপর আগুন জ্বলে ওঠে ভাঙড়ে (Bhangar)। গুলি ও বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তৃণমূলের (Trinamool Congress) একটি পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ISF-র বিরুদ্ধে। এদিকে, ISF কর্মীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার জন্য ভাইজানের কর্মী সমর্থকদের নিশানায় আরাবুল ইসলাম। ফলে অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন তাঁরা।
কী বক্তব্য নওশাদের?
গোটা ঘটনা নিয়ে ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি (MLA Nawsad Siddique) বলেন, “পুলিশ চাইলে এই সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতেই পারত। আমাদের একের পর এক গাড়িতে তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আমাদের সমর্থকদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। গাড়ি থেকে নেমে পালটা ধাওয়া করলে তৃণমূলের লোকেরা পালিয়ে যায়। আমাদের সমর্থকরা প্রথম থেকে কোনও ঝামেলার মধ্যে জড়াতে চাননি। প্রথমে তৃণমূল সমর্থকরাই আমাদের কর্মীদের হাতিশালা মোড়ে পতাকা বাঁধতে বাধা দেয়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় আমাদের।”