অসন্তুষ্ট বেহালাবাসী
বেহালা মেট্রো চালু হয়েছে, তবে মাত্র গুটিকয়েক রেকই চলছে এই পার্পেল লাইনে। তাও মিলছে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর। কখনও সময়ে স্টেশনে পৌঁছতে না পারলে ওইদিন আর মেট্রো চড়া আর ভাগ্যে জুটছে না বেহালার বাসিন্দাদের। তাড়াহুড়োর সময় কর্মব্যস্তরা মেট্রোর সুবিধা পাচ্ছেন না। এমনকী সারাদিনে মেট্রোর সময়ও অত্যন্ত কম। ফলে পার্পেল লাইনের এই মেট্রোকে ‘বেহালার টয়ট্রেন’ আখ্যা দিয়েছেন এলাকাবাসী। এবার ছুটির দিনেও মেট্রো বন্ধের সিদ্ধান্তে অখুশি নাগরিকরা। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষের উপর। সকাল ১০টা থেকে ঘণ্টা দুই, আবার বিকেলে দু’ঘণ্টা। মাঝখানে দুপুরে টানা তিন ঘণ্টা পুরোপুরি বন্ধই থাকে এই রুটের পরিষেবা। স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু না-হওয়ায় আপাতত একটি রেক লাইন ধরে এগোচ্ছে, আবার ওই রেক ফিরছে একই লাইন ধরে।
মাছি তাড়াচ্ছে বেহালা মেট্রো (Behala Metro)
গত বছর ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) উদ্বোধন করেন জোকা তারাতলা রুটের মেট্রো। উদ্বোধনের দিন বেহালা মেট্রোতে সওয়ার হয়েছিলেন ৫ হাজার ৩ জন যাত্রী। দ্বিতীয় দিন তা কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১০২ জনে। এরপর থেকে রোজই একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে কলকাতা মেট্রোর পার্পল লাইনের যাত্রীসংখ্যা। উদ্বোধনের পর মাস খানেকও কাটেনি। জোকা-বিবাদী বাগ লাইনের জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত অংশে রোজ গড়ে যাত্রিসংখ্যা ২১০০ থেকে ২৭০০-র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। একসময় যেখানে মনে করা হয়েছিল এই রুটে মেট্রো চালু হলে রাতারাতি কমবে অটো চালকদের দৌরাত্ম্য, তা এখন বিশ বাঁও জলে। উলটে কার্যত মাছি তাড়াচ্ছে বেহালা মেট্রো। তার মধ্যেই এবার ছুটির দিনগুলোতেই মেট্রো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। ফলে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বেহালার নাগরিকদের মধ্যে।