এই ঘটনা জানাজানি হতেই শনিবার দুপুরে কলেজ পড়ুয়ারা আমতা কলেজ মোড়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পাশাপাশি পথ অবরোধের সঙ্গে ঝিকিরা- হাওড়া রুটের বাসগুলিকে আমতা ফুটবল মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়। যদিও রাস্তা অবরোধের কথা অস্বীকার করেছেন আমতা রামসদয় কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি রুহুল আমিন। তিনি জানান, “অর্ধেক বাস ভাড়া নেওয়ার পাশাপাশি পড়ুয়াদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করার বিষয়টি জানানোর জন্য পড়ুয়ারা বাসগুলিকে থামাচ্ছিল। এদিন কোথাও কোনও রাস্তা অবরোধ হয়নি”। অন্যদিকে বাস মালিকদের সংগঠনের নেতা দেবাশীষ পালুই জানান, “যে বাসের কন্ডাক্টর ও খালাসী পড়ুয়াদের সঙ্গে র্দুব্যবহার করেছিল তাদের তিন মাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। সেটা কলেজ পড়ুয়াদের জানানো হয়েছিল। তারপরেও শনিবার পড়ুয়ারা যেটা করেছে, সেটা অন্যায় হয়েছে”।
এই বিষয়ে এই রুটের বাসের এক রোজকার যাত্রী বলেন, “মাঝেমধ্যেই এই রুটের বাসের খালাসি ও কন্ডাক্টরদের সঙ্গে এই কলেজের পড়ুয়াদের ঝামেলা লাগে। তার জেরে ক্ষতি হয় বাকি যাত্রীদের। গন্তব্যে পৌছতে দেরি হয়ে যায়। আমার সামনেই কতবার ঝামেলা লেগেছে। আজ তো সব সীমা অতিক্রম করে বাসই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কোনও বাস পাইনি”। প্রশাসনের কাছে এর বিহিত করার দাবিও জানিয়েছেন ওই বাস যাত্রী। এদিন বাস বন্ধের জেরে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। সুযোগ বুঝে ভাড়া বাড়িয়ে দেয় অটো এবং টোটোও।