তদন্তে নেমে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় আমবাড়ি চিন্তামোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সন্তোষ বর্মণকে। ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। চাকরি নামে প্রতারণার এই চক্রে আরও কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। ধৃত ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পঙ্কজ কুমার বর্মন নামে আরও এক শিক্ষকের নাম জানতে পারে পুলিশ। তারপর থেকেই তাঁর খোঁজ চলছিল। শুক্রবার রাতে আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ পঙ্কজ কুমার বর্মণকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে পঙ্কজ কুমার বর্মণ শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে শিক্ষক কোচবিহারের বাসিন্দা হলেও শিলিগুড়িতে বহুদিন ধরে থাকছেন। পরিবার নিয়েই এখানে থাকতেন ধৃত পঙ্কজ।
শনিবার সকালে স্কুল খোলার পর পুরো বিষয় জানতে পারেন বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠের শিক্ষক শিক্ষিকারা। প্রতারণায় স্কুল শিক্ষক গ্রেফতারের ঘটনার শোনার পর হতবাক বরদাকান্ত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। এই ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক বিপ্লব সরকার বলেন, ‘২০২১ সাল থেকে পঙ্কজ কুমার বর্মণ শিক্ষক স্কুলে পড়াচ্ছেন। তিনি সংস্কৃতের শিক্ষক। প্রতারণা ব্যাপারে কিছু জানা ছিলনা। স্বাভাবিকভাবেই একজন স্কুল শিক্ষক গ্রেফতার হওয়ায় স্কুলের সুনামে প্রভাব পড়বে।’
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে সিবিআই-ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে একের পর এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রশাসনের একাধিক প্রভাবশালীর ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকী শনিবার চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুন্তলকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।