দুর্নীতি ইস্যুর পাশাপাশি তৃণমূলের কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-কেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘ডাকাত কুন্তলের জন্য দিদির সুরক্ষা কবচ কাজ করল না। ভাইপো র্যাকেটের ক্ষেত্রেও দিদির সুরক্ষা কবচ কাজ করবে না… কুন্তল আইনজীবীর কথা শুনেই দলকে না জড়ানোর কথা বলেছেন। এই কথা বললে জেলে নানা ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে। রাজ্যের বাইরে না নিয়ে গেলে এরা মুখ খুলবে না। জেলে চোরদের ভালমন্দ খেতে দেওয়া হচ্ছে। ডাকাত কুন্তলরা ভাইপোর কাছে টাকা তুলে দিয়েছে। বাংলার বাইরে নিয়ে গেলেই এদের মুখে সত্যি কথা বেরবে।’
ভাঙরে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই নিয়ে কার্যত ভাঙরের ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির পাশে দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘ভাঙরের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। নওশাদ ভাই একটি সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে রাজনীতি করতে এসেছেন। বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি তাঁর খোঁজ খবরও নেব। আমরা বিরোধী দল হিসেবে আইএসএফ বিধায়ক হিসেবে তাঁকে বিধানসভায় কথা বলার সুযোদ দিই। কিন্তু, যাঁরা প্রকৃত তৃণমূলের বিরোধী তাঁর বিজেপিরও বিরোধিতা করবেন এটা হতে পারে না। তৃণমূলের অপশাসন থেকে মুক্তি পেলে হলে এই কাজ করা যাবে না।’ ঝালদা পুরসভা ইস্যুতেও পূর্ণিমা কান্দুদের নৈতিক সমর্থনের কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু।
দুর্গাপুরে রাজ্য বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠক চলাকালীন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শুভেন্দু। কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির ছাড়াও আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে সুষ্ঠু পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু। এছাড়াও রাজ্যপাল ইস্যুতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘সবার কাজ করার ধরন আলাদা। কিন্তু তৃণমূল সরকারে পাশ কোনও বেআইনি বিল এখনও এই রাজ্যপাল সই করেননি। আমি ওনাার শিক্ষাকে সম্মান করি। উনি কোনও অনৈতিক কাজ করবেন বলে আমি মনে করি না।’
