West Bengal News: দুর্গাপুরের রাজ্য বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক চলছে। সেই বৈঠক চলাকালীন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সাংবাদিক বৈঠকে থেকে একাধিক ইস্যুতে মুখ খোলেন বিজেপি নেতা। তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারিতে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Abhishek Banerjee) নিশানা করেন শুভেন্দু। পাশাপাশি এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতেও চাঞ্চল্যকর দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের জনসংখ্যায় বড় পরিবর্তন নিয়ে আমার সকলে চিন্তিত। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গা সহ বিভিন্ন বেআইনি অনুপ্রবেশকারী ঢুকছে তা আমাদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসন BSF-কে অসহযোগিতা করছে। যেভাবে বিএসএফকে আটকানোর জন্য বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হচ্ছে, যেভাবে বিএসএফের চৌকির তৈরির জন্য রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে না তাতে সব মিলিয়ে আমাদের মনে হয়েছে বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদীদের এই রাজ্যে ঢুকিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জায়গার জনসংখ্যার পরিবর্তন ঘটনাচ্ছে। উনি বা ওনার উত্তরাধিকারী যাতে আরও ৩০-৪০ বছর এখানে রাজত্ব করতে পারেন, সেই কারণে এই কাজ করা হচ্ছে।’ Suvendu Adhikari : ডাকাত কুন্তলকে বাঁচাতে পারল না দিদির সুরক্ষা কবচ: শুভেন্দু
অনুপ্রবেশকারী নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করার পাশাপাশি আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে, শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ বা মালদা নয় বিধাননগর, সল্টলেক-নিউটানের পাশাপাশি এয়ারপোর্ট সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রোহিঙ্গা ঝুপড়ি তৈরি হয়েছে। এটা আমাদের কাছে খুবই চিন্তার বিষয়। আমাদের এই কথা নিয়ে তৃণমূল বলতে পারে যে আমার মুসলিম বা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমি বলতে চাই ভারতীয় মুসলিম বা সংখ্যালঘুদের নিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। কারণ মোদীজির প্রকল্পের সুবিধা সবাই পেয়েছে। অন্য দেশে ক্ষুধার জ্বালা সহ্য না করতে পেরে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা সকলে এখানে ঢুকে পড়ছে। বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সাপ্লাই লাইনে পরিণত হয়েছে আমাদের রাজ্য।’
Sukanta Majumder :’দিদির সঙ্গেই ওঁর যোগাযোগ নেই…’ মিঠুনকে নিয়ে ফিরহাদের দাবি নস্যাৎ করে খোঁচা সুকান্তর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ ডাকাত কুন্তলকে বাঁচাতে পারল না। ভাইপো র্যাকেটকেও সুরক্ষা কবচ বাঁচাতে পারবে না। কুন্তল ঘোষকে ভাইপোর সঙ্গে একাধিবার দেখা গিয়েছে। প্রমাণসহ কুন্তল গ্রেফতার হওয়ায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা শুধু পার্থ-অপারা নয়, ভাইপোর ঘনিষ্ঠরা এই টাকা নিয়েছে। ‘