পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাবা বেশ কিছু বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। নাবালিকার মাও নেই। নিজের জেঠু, জেঠিমার কাছে নাবালিকা থাকে। গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে ওই নাবালিকা বাড়িতে একা ছিল। পাড়ার এক বৌদির সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যান নির্যাতিতা। সেই ডাক্তারখানার পাশেই অভিযুক্তের দোকান। সেখানে যখন নির্যাতিতা যায় তাকে জোর করে দোকানের ভিতর নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি এর পরেও আরেকদিন ওই মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে একইভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
প্রথমে ওই নাবালিকা ভয়ে ঘটনার কথা প্রকাশ করেনি। নির্যাতিতার এক আত্মীয় বলেন, “২৫ তারিখ রাতে ওর জেঠু, জেঠিমা একটু বাইরে বেরিয়েছিল। সেই সময় পাড়ার একজন মহিলা ওকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে নিয়ে যায়। সেখানেই অভিযুক্ত যুবক মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আরেকবার ডেকে নিয়ে গিয়ে এরকম কাণ্ড ঘটানোর পর আমাদের কাছে পুরো ঘটনাটা মেয়েটা জানায়। আমরা অভিযুক্তের কড়া শাস্তির আবেদন জানাচ্ছি।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম তাপস সাঁপুই। সে একই এলাকার বাসিন্দা। গোটা ঘটনাটি নিয়ে এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, নির্যাতিতা নিজেই গতকাল রাতে থানায় এসে অভিযোগ জানান। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। বাড়ি থেকেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আজ বারুইপুর আদালতে (Baruipur Court) পেশ করা হবে। অভিযুক্ত যুবককে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ বলে জানানো হয়েছে।
গোটা ঘটনার কথা জানাজানি হতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতিতার কথায়, যে মহিলা তাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল, সেও এই বিষয়টি জানতো। ঘটনাটি যাতে কাউকে না জানানো হয়, সে ব্যাপারে নাবালিকা মেয়েটিকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। দ্বিতীয়বার ফের ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখনই সে বাড়িতে পুরো ঘটনাটি জানায়। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছে কুলতলি থানার পুলিশ।