West Bengal Local News রুই কালিয়া থেকে ইলিশ ভাপে, চুনোর ঝাল থেকে ধনে পমফ্রেট অগুন্তি মাছের পদ। দুর্গাপুরের মৎস্য উৎসবে ছিল ভোজনরসিক বাঙালির জন্য বিপুল আয়োজন। দুর্গাপুরে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিল টাউনশিপ এলাকায় মাছে ভাতে বাঙালিদের জন্য আয়োজিত হল মৎস্য উৎসব ২০২৩। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন পুরসভার পুরপ্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপারসন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। ভোজনরসিক বাঙালির প্রিয় বলতে সবার প্রথমেই আসে খাবার মাছ ভাত-এর নাম। এদিনের এই মাছে ভাতে বাঙালির মাছ উৎসবে শত শত মানুষ ভিড় জমায়। শীতের রোদ গায়ে মেখে জমজমাট হয়ে ওঠে মাছ উৎসব।
ইলিশ (Hilsa) থেকে রুই (Rui), চিংড়ি (Prawn) থেকে চুনো কী ছিল না সে মেনুতে। আর এই সমস্ত ছিল বিনামূল্য। সুস্বাদু দেবভোগ্য মাছের পদগুলি চাখার জন্য লাগেনি কোনও মূল্য। প্রসঙ্গত, বিনামূল্যে ‘আম উৎসব ‘ থেকে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ কয়েক হাজার শিল্পাঞ্চল বাসীর জন্য নজিরবিহীন খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করে তাক লাগিয়েছে দুর্গাপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। Digha Beach : পমফ্রেট-লবস্টার থেকে কাঁকড়া, দিঘায় সি ফুড ফেস্টিভ্যালে মজেছেন পর্যটকরা
বিগত দু’বছর ধরে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সংস্থার পক্ষ থেকে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’র আয়োজন করা হয়। প্রায় ১১ কুইন্ট্যাল বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিভিন্ন সুস্বাদু পদে রান্না করা হয়। আমন্ত্রিত থাকেন প্রায় তিন হাজারের অধিক শিল্পাঞ্চলবাসী। জাতীয় মাছ রুই ছাড়াও ইলিশ থেকে চুনোপুঁটিসহ একাধিক মাছের পদ ছিল। আয়োজকরা এই অভিনব মাছ উৎসবের কারণ নিয়ে বলেন, ”মূলত এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে আমাদের বার্তা, মাছের বাসস্থান পুকুর, খালবিল, ডোবা সহ জলাশয় বুজিয়ে মানুষের বাসস্থান গড়ে তুলবেন না। তাঁদের বাসস্থান বাঁচিয়ে রাখুন। ওই সব জলাশয়ে থাকা বহু মাছ লুপ্ত হওয়ার পথে।পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে মাছের প্রতি আসক্ত করতেই’ মাছে ভাতে বাঙালি ‘ উৎসব করছি৷”
এই সংস্থা দুঃস্থ পরিবারের মেয়ের বিয়ের জন্যে সবরকমের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। বিয়ের সোনা গয়না, আসবাবপত্র ও যৌতুক সহ খাওয়া দাওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই ৭ জন দুঃস্থ পরিবারের মেয়ের বিয়েতে তাঁরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ‘আয়লা’র মত প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণ বিলি করা থেকে করোনা কালে একাধিক সমাজসেবামূলক কাজের আয়োজন করা হয়।