Kolkata Air Hostess Death : অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত জিমে কসরত, হঠাৎ কী হল? বিমান সেবিকার মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা – air hostess in kolkata pragati maidan ps area who allegedly committed suicide used to visit gym regularly


রক্তাক্ত দেহ। হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরা চাবির গোছা। ঘর থেকে উদ্ধার ডায়েরির টুকরো পাতা। প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় বিমান সেবিকার মৃত্যু ঘিরে একাধিক রহস্য দানা বাঁধছে। ২৭ বছরের দেবপ্রিয়া বিশ্বাসের সোশাল মিডিয়া প্রোফাইল বলছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বরের পর কলকাতা ফিরেছিল সে। ‘প্রিয়তমা’ বিমানকে সাময়িক বিদায় জানিয়েছিল। কথা দিয়েছিল আবার ফিরে আসবে বিমানে। কিন্তু, আর ফ্লাই করা হল না আকাশপথে। তার আগেই জীবনের চরম সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললেন তিনি। কাজ না পাওয়ার মানসিক চাপে শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী (Kolkata Air Hostess Death) হওয়ার পথে বেছে নিলেন দেবপ্রিয়া? নাকি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে আবাসনের চারতলা থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল? মৃত্যুর আগে কি নেশাগ্রস্ত ছিলেন তিনি? একাধিক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে এই ঘটনায়। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন এই বিমান সেবিকা। চাকরিহারা হয়েই মানসিক অবসান কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল তাঁকে। আর সেই থেকেই এই সিদ্ধান্ত।

Kolkata Air Hostess Suicide : বহুতল থেকে মরণঝাঁপ! চাকরিহারা বিমান সেবিকার মর্মান্তিক পরিণতি
দেবপ্রিয়ার সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে কী রহস্য?

দেবপ্রিয়ার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বেশ ঝলমলে। একাধিক পোশাকে ফটোশ্যুট থেকে শুরু করে পরিবারের সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি আপলোড করা রয়েছে এই বিমান সেবিকার (Kolkata Air Hostess) প্রোফাইলে। তবে গত একমাস থেকে বেশ অনিয়মিত লগ ইন করতেন দেবপ্রিয়া। শেষ পোস্ট মৃত্যুর ঠিক এক মাস আগের। জিমে শরীরচর্চা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মাসখানেক আগে জিমে জোরকদমে চলছিল কসরত। তবে কি ঘাম ঝরিয়ে, বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফের একবার ফ্লাই করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি? নাকি হঠাৎ করে ওয়েট পুট অন বিমান সেবিকার কাজ না পাওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজতেই তদন্ত শুরু করেছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ।

Shraddha Walkar Murder case: শ্রদ্ধা খুনে ১০০ সাক্ষী, ৩ হাজার পাতার চার্জশিট জমা দিতে চলেছে পুলিশ

কেন মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছিলেন দেবপ্রিয়া?

দেবপ্রিয়ার সোশাল মিডিয়ায় প্রোফাইলে দেখা গিয়েছে, নভেম্বর মাসে দিদির সঙ্গে পার্ক স্ট্রিট (Park Street) কবরস্থানে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর নভেম্বর মাস থেকে জিমে শরীরচর্চা শুরু করেন। ডিসেম্বরেও ট্রেডমিলে ঘাম ঝরাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। জিমে কসরতের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দেবপ্রিয়া লিখেছেন, “জীবনের ছন্দ যখন ঠিক থাকে, তখন তাঁকে ধরে রাখতে শেখ।” তবে কেন আচমকাই ছন্দপতন ঘটল? কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন দেবপ্রিয়া বিশ্বাস? কেবলমাত্রা কাজের অভাব না কি মানসিক অবসাদগ্রস্ত হওয়ার পিছনে রয়েছে আরও কোনও বড় কারণ। তাঁর বায়োতে লেখা, দেবপ্রিয়া দোহার বাসিন্দা। কাতার এয়ারলাইন্সের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর তাঁর স্থায়ী ঠিকানাই বা কোনটা ছিল। সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *