কেন মরণঝাঁপ বিমান সেবিকার?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’বছর ধরে হাতে কোনও কাজ ছিল না বিমান সেবিকা দেবপ্রিয়া বিশ্বাসের। এয়ারলাইন্সের চাকরি খোয়া গিয়েছিল লকডাউনের পরই। তারপর থেকেই কর্মসংস্থানের অভাবে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আর সেই থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আবাসনের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কার কার সঙ্গে তিনি মেলামেশা করতেন, কোনও তিক্ত সম্পর্কে ছিলেন কিনা, পরিবারের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক, সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁকে কেউ আঘাত করার চেষ্টা করেছিল কিনা, সেই বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগে কাতার এয়ারলাইন্সে (Qatar Airlines) কাজ করতেন ওই তরুণী। লকডাউনের সময় সেই চাকরি চলে যায় তাঁর। এরপর দেবপ্রিয়া বিশ্বাস ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সে (Indigo Airlines) চাকরি পান। দু’মাস আগেই প্রগতি ময়দান থানা এলাকার এই আবাসনে দিদির বাড়িতে থাকতে এসেছিলেন। যদিও দেবপ্রিয়ার ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তবে কয়েকটা কাগজের টুকরো পাওয়া গিয়েছে। কিছু পুরনো ছবিও মিলেছে। সবকিছুই স্ক্যানারে রাখছেন তদন্তকারীরা। একটা সূত্র ধরেই এই মৃত্য রহস্যের কিনারায় পৌঁছতে চাইছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ঝাঁপ দেওয়ার সময় বিমান সেবিকার হাতে একটি চাবির গোছা মুঠো বন্দি অবস্থায় ছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হওয়ার পর হাত থেকে ওই চাবির গোছা পাওয়া যায়। চাবিটি কী সের তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, লকডানের পর থেকেই ধীরে ধীরে ওজন বাড়িয়ে ফেলেন দেবপ্রিয়া। পরে জিমেও ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ওজন বেড়ে যাওয়ায় কী বিমানে কাজ পাচ্ছিলেন না দেবপ্রিয়া? সেই কারণেই কি মানসিক অবসাদ?