প্রতারিত পরিবারটি জানিয়েছে, অর্থাভাবে মেয়ের বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। তখন পরিমল মহলদার নামে গ্রামেরই এক ব্যক্তি যোগাযোগ করে। আশ্বাস দিয়ে বলে, পাটনায় তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি পরিবারে স্বচ্ছল পাত্র রয়েছে। পাত্রের কোনও দাবিদাওয়া নেই, শুধু শাখা-সিঁদুরের ব্যবস্থা করলেই হবে। এর পর উদল কুমার যাদব ও কাঞ্চনদেবী নামে দু’জন পাত্রী দেখতে আসে। পরিচয় দেওয়া হয়, উদল সেই পাত্র এবং কাঞ্চন তার বৌদি। তারা জানিয়ে যায়, পাত্রী তাদের পছন্দ। এর পর পাত্রীপক্ষ ছেলেকে আশীর্বাদ ও পাকা কথা বলতে পাটনায় যায়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বরপক্ষ আসতেই বরণডালার বদলে এলো হাতকড়া। বর দেখতে আসা সবাই যখন হতভম্ব, তখন রহস্য ভাঙলেন পাত্রীর বাবা। জানালেন, পাটনায় পাত্রের বাড়িতে গিয়েই তাঁদের সন্দেহ হয়েছিল। এর পর সন্তর্পণে এলাকায় খোঁজ নিতেই তাঁরা জানতে পারেন, উদল কুমার যাদব ও কাঞ্চন সম্পর্কে দেওর-বৌদি নয়, স্বামী স্ত্রী। কিন্তু পাটনায় (Patna) হাটে হাঁড়ি ভাঙলে চক্রটির হাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই ওখানে কিছুই বুঝতে না দিয়ে বরং উল্টো চাল চালেন পাত্রীপক্ষ। বিয়ের দিন ঠিক করে ফিরে আসেন তাঁরা। এর পর হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় (Harishchandrapur Police Station) গোটা ঘটনাটা জানান। সেই মতো পুলিশও প্রস্তুত হয়েই ছিল। ধৃত প্রতারক দম্পতিকে চাঁচল মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ৫ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, “প্রতারণা চক্রটির জাল কতদূর বিস্তৃত তা জানার চেষ্টা চলছে। তবে ধৃত দু’জনের কাছ থেকে এখনও তেমন কোনও তথ্য আদায় করা যায়নি।”