এদিনের সভায় একজন মহিলা উঠে বলেন, তিনি মিঠুনকে দেখতে এসেছেন। মিঠুনের ভক্ত। তিনি অনুরাগী হিসাবে নিজের ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন মিঠুনের সামনে। মিঠুন তাঁকে বলেন, “এই ভালোবাসা বিজেপির ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হওয়া চাই। তবেই বোঝা যাবে আসল ভালোবাসা। শুধু ভালোবেসে লাভ নেই।” বিজেপি এক কর্মী উঠে বলেন, “বিভিন্ন মিডিয়াতে আমরা দেখতে পাচ্ছি আপনি বলছেন আপনার পকেটে নাকি তৃনমূলের অনেক বিধায়ক আছেন। তারা কবে সামনে আসবে ? আর পারা যাচ্ছে না মার খেতে খেতে।” মিঠুন উত্তর দেন, “আগে বলেছিলাম ২৩ টা বিধায়ক। এখন সংখ্যাটা বেড়েছে। দিল্লী থেকে নির্দেশ আসার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, কিন্তু বলে ফেলেছি। তবে আমি পালটা মার দেওয়ার কথা বলব না। কারণ আমি হিংসার বিরুদ্ধে। কিন্তু মার খেতে খেতে এমন একটা সময় এসে যায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। ধৈর্য ধরতে হবে।”
সভায় উপস্থিত আরেকজন দর্শক রূপসা বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থার এই হাল কেন ? সবাই যোগ্যতায় চাকরি পাক।” মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মিঠুন বলেন, “যাঁরা আরও বেশি শিক্ষিত তাঁরা চাকরি বিক্রি করে দিয়েছে। আমরা এখন ক্ষমতায় নেই তাই নারী নিরাপত্তার বিষয়টা পুলিশ প্রশাসনের বিষয়।” হাওড়া জগদীশপুর থেকে এসেছিলেন তুলসী শীল। তিনি মিঠুনকে একবার প্রণাম করতে চান। মঞ্চের ডানদিকে এগিয়ে গিয়ে মিঠুন তাঁর প্রণাম নিয়ে মাথায় হাত দিয়ে আশির্বাদ করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিঠুন স্পষ্ট করে দেন, তিনি অরাজনৈতিক লোক। তবে বিজেপিকে একবার রাজ্যের মানুষ যেন ক্ষমতায় আনেন। তাহলে তিনি কথা দিচ্ছেন কারো কাঁচা বাড়ি থাকবে না। মশাটে চন্ডীতলা-১ বিডিও অফিসের বিপরীত মাঠে মিঠুন চক্রবর্তীর সভায় উপচে পড়া ভিড় ছিল এদিন।