Mithun Chakraborty : ‘বলুন কার কী বলার আছে ?’, জনতার দরবারে দর্শকদের প্রশ্নের জবাব মিঠুনের – mithun chakraborty replied people questions answers from hooghly meeting


BJP : বছরে তুফান এক-আধবার আসে। তবে তিনি এখন আসছেন মাঝেমধ্যেই। রাজ্যে গেরুয়া প্রচারে প্রায়শই দেখা মিলছে মহাগুরুর। সিনেমার মারকাটারি ডায়ালগ সম্বলিত তাঁর বক্তৃতা শুনতে অভ্যস্ত দর্শকরা। তবে এদিন বিজেপির (BJP) একটি সভায় নতুন চমক দেখালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। বক্তৃতার মাঝেই একের পর এক উত্তর দিলেন সভায় উপস্থিত দর্শকদের প্রশ্নবাণের। হুগলি জেলার চণ্ডীতলার মশাটে জনসভায় কার্যত ‘জনতার দরবার’ বসালেন মিঠুন। এদিনের সভায় মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে মিঠুন বলেন, “বলুন কার কি বলার আছে ? দর্শকদের মধ্যে অনেকেই হাত তোলেন। তাঁরা মিঠুনকে কিছু বলতে চান। মিঠুন তাঁদের কাছে মাইক্রোফোন এগিয়ে দিতে বলেন। এরপরেই দর্শকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয় মহাগুরুর। একের পর এক দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে শুরু করেন তিনি। জনতার দরবারে এরকম অবারিত সাক্ষাৎকার দেখে আপ্লুত দর্শকরা।

Mithun Chakraborty: ‘…পঞ্চায়েতে জিতেই দেখাব’, মঞ্চ থেকে হুংকার মিঠুন চক্রবর্তীর
এদিনের সভায় একজন মহিলা উঠে বলেন, তিনি মিঠুনকে দেখতে এসেছেন। মিঠুনের ভক্ত। তিনি অনুরাগী হিসাবে নিজের ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন মিঠুনের সামনে। মিঠুন তাঁকে বলেন, “এই ভালোবাসা বিজেপির ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হওয়া চাই। তবেই বোঝা যাবে আসল ভালোবাসা। শুধু ভালোবেসে লাভ নেই।” বিজেপি এক কর্মী উঠে বলেন, “বিভিন্ন মিডিয়াতে আমরা দেখতে পাচ্ছি আপনি বলছেন আপনার পকেটে নাকি তৃনমূলের অনেক বিধায়ক আছেন। তারা কবে সামনে আসবে ? আর পারা যাচ্ছে না মার খেতে খেতে।” মিঠুন উত্তর দেন, “আগে বলেছিলাম ২৩ টা বিধায়ক। এখন সংখ্যাটা বেড়েছে। দিল্লী থেকে নির্দেশ আসার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, কিন্তু বলে ফেলেছি। তবে আমি পালটা মার দেওয়ার কথা বলব না। কারণ আমি হিংসার বিরুদ্ধে। কিন্তু মার খেতে খেতে এমন একটা সময় এসে যায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। ধৈর্য ধরতে হবে।”

Mithun Chakraborty : বাসন্তীতে মিঠুনের সভা, কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ কী কী থাকছে মেনুতে? জানুন
সভায় উপস্থিত আরেকজন দর্শক রূপসা বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থার এই হাল কেন ? সবাই যোগ্যতায় চাকরি পাক।” মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মিঠুন বলেন, “যাঁরা আরও বেশি শিক্ষিত তাঁরা চাকরি বিক্রি করে দিয়েছে। আমরা এখন ক্ষমতায় নেই তাই নারী নিরাপত্তার বিষয়টা পুলিশ প্রশাসনের বিষয়।” হাওড়া জগদীশপুর থেকে এসেছিলেন তুলসী শীল। তিনি মিঠুনকে একবার প্রণাম করতে চান। মঞ্চের ডানদিকে এগিয়ে গিয়ে মিঠুন তাঁর প্রণাম নিয়ে মাথায় হাত দিয়ে আশির্বাদ করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিঠুন স্পষ্ট করে দেন, তিনি অরাজনৈতিক লোক। তবে বিজেপিকে একবার রাজ্যের মানুষ যেন ক্ষমতায় আনেন। তাহলে তিনি কথা দিচ্ছেন কারো কাঁচা বাড়ি থাকবে না। মশাটে চন্ডীতলা-১ বিডিও অফিসের বিপরীত মাঠে মিঠুন চক্রবর্তীর সভায় উপচে পড়া ভিড় ছিল এদিন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *