রবিবার হুগলি জেলার খানাকুলের ঘোষপুরের নেতাজী ইউনিয়ন বিদ্যাপীঠের ৭৫ বছর পুর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভাপ্রসন্ন বলেন, ”সব জায়গায় দুর্নীতি আছে, আবার ভালোও আছে। একেবারে সমাজে থেকে কেউই চৌর্যবৃত্তি করবে না, দুর্নীতি করবে না। এটা হবে না। সবাই তো রামকৃষ্ণ মিশনের মেম্বার নয়। সুতরাং ভালোও থাকবে, মন্দও থাকবে। আমাদের ভালোটা বেছে নিতে হবে।”
একইসঙ্গে বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে অবক্ষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ”না না, সবকিছুই ঠিক আছে। আমরা এটা সব সময় এটা মনে করি। সব তো পরিবর্তন হয়। সব সময় একরকম থাকে না। সুতরাং, বাংলা – বাংলাতেই আছে। এখন বহু শিল্পী, নাট্যকার, সাহিত্যিক আছে যারা সাহিত্য রচনা করছেন। কাজ করছেন। কোনওটাই থেমে নেই।”
চিত্র শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্যের মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের আরামবাগের গণতান্ত্রিক লেখক শিল্প সংঘের অন্যতম সদস্য তথা বিশিষ্ট অধ্যাপক মুক্তি প্রকাশ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোভিডের সময় থেকেই শিক্ষার ক্ষতি হয়। তবে বর্তমান সময়ে বাংলায় শিক্ষা ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই বাংলায় শিক্ষা ক্ষেত্রে অবক্ষয় শুরু হয়েছে। তবে ঘটনা যাই হোক না কেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা, যেভাবে একের পর এক সামনে আসছে তাতে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা যে তলানিতে নেমেছে তা স্বীকার করছেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ।
স্কুলের এই অনুষ্ঠানে সামিল হন পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বর্তমান সময়ে সিলেবাস পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কিনা প্রসঙ্গে সাফ জানান, ”কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। সারা ভারতবর্ষের নিরিখে ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভেতে বাংলার ছেলে মেয়েরা প্রথম। যারা বলছেন তারা তথ্য নিয়ে বলছেন না।” তবে শিক্ষক সংকটের কথা মেনে নেন তিনি এবং তা নিয়ে শিক্ষা দফতরে আলোচনা চলছে বলেও জানান।সবমিলিয়ে এদিন ঘোষপুর নেতাজী ইউনিয়ন বিদ্যাপীঠের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ তথা সাংবাদিক দেবাশীষ শেঠ, অঞ্চল প্রধান সেখ হায়দার আলি ও প্রধান শিক্ষকসহ প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন এবং জাঁকজমকপূর্ণ ভাবেই এই প্লাটিনাম জুবিলি ও পুর্নর্মিলন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।