মৌপিয়া নন্দী: ‘দেশের সেরা ১০ জন রাজনীতিবিদের মধ্যে একজন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মাস্টারস্ট্রোক’। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। অভিষেককে পরামর্শ, ‘সঙ্গে কারা আছেন, তা দেখেই মানুষকে চেনা যায়। চোখ-কান খোলা রাখুন’।
একুশের ভোটে বিপুল জয়। তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কুর্সিতে বসে একটি নয়া প্রকল্প চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নাম, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা, আর যাঁরা তফশিলি জাতি কিংবা উপজাতির, তাঁদের মাসে হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। কারা পান এই ভাতা? যাঁরা সরকারি বা বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন কিংবা পেনশন পান, তাঁরা ছাড়া সকলেই। তবে উপভোক্তার বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। সম্প্রতি উপভোক্তাদের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে বিধবাদেরও।
আরও পড়ুন: Kunal on Mithun: ‘বড়মাপের অভিনেতা, পর্দাতেও, পর্দার বাইরেও’, মিঠুনকে কটাক্ষ কুণালের
এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি নাকি ‘মাস্টারস্ট্রোক’! জি ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ সাক্ষাৎকারে মিঠুনের ব্যাখ্যা, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এমন একটা সেন্টিমেন্টাল কথা, লক্ষ্মীর মা, তার ভাণ্ডার। কিছু কথা বলতে গেলেই সমস্যা। পাঁচশো টাকা করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। কিন্তু পাঁচশো টাকায় সংসার চলে? চলে না। সেটা ম্যাডামও জানেন, আমরাও জানি’। ‘মহাগুরু’র দাবি, ‘৫০০ টাকা করে হলে বছরে ৬ হাজার টাকা, আর পাঁচ বছরে ৩০ হাজার টাকা। এই ৩০ হাজার টাকা একবারেই দিতে গেলে সমস্যা। সেজন্য ৫০০ করে ভাগ করতে করতে ভোট পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছেন। আপনি কিন্তু আটকে যাবেন। প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। আসলে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে এক এক ভোট নিশ্চিত করে ফেলছেন। কেউ ধরতে পারবে না, এটাই মাস্টারস্ট্রোক’।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশংসা করেছেন মিঠুন। তিনি বলেন, ‘অভিষেক সুবক্তা। অনেক ভাষণ শুনেছি। শ্রোতাদের ধরে রাখতে পারে। কিন্তু অভিষেক স্যারকে একটাই কথা বলব, ‘সঙ্গে কারা আছেন, তা দেখেই মানুষ চেনা যায়। চোখ খোলা রাখুন, কান খোলা রাখুন’।