বিক্রম দাস: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর হাত দিয়ে প্রায় ৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে মনে করছে ইডি। কিন্তু আরও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে চিনার পার্কে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ডাইরিতে। কারণ সেখানে পাওয়া গিয়েছে কিছু সাংকেতিক শব্দে লেখা টাকার অঙ্ক। সেই সাংকেতিক শব্দ ডিকোড করার চেষ্টা করছে ইডি।
আরও পড়ুন-স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে ২ মাস ধরে একঘরেই ‘সহবাস’ স্বামীর!
হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলের দাবি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে তাপস মণ্ডল ও গোপাল দলপতি। ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলের বাড়ি থেকে ২টি ডাইরি উদ্ধার হয়েছে। ওইসব ডাইরি থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সূত্র পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি কিছু প্রভাবশালীর যোগ পাওয়া যাচ্ছে। এমনটাই ইডি সূত্রে খবর। কিন্তু সমস্যা হল ওইসব ডাইরিতে সাংকেতিক শব্দে টাকার লেনদেনের কথা লেখা রয়েছে। সাংকেতিক শব্দেই লেখা হয়েছে নাম। ওইসব নাম কাদের? গতকালও সেইসব ডাইরি সামনে রেখে কুন্তলকে জেরা করেন তদন্তকারীরা।
সোমবার বিধাননগর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় কুন্তলের। তার পর তাকে ফিরিয়ে এনে ইডি দফতরে ফের ডাইরিতে লেখা নাম ও হিসেব নিয়ে ফের টানা প্রশ্ন করা হয়। ওইসব বিষয়গুলি স্পষ্ট হয়ে গেলেই কুন্তলকাণ্ডে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ওইসব সাংকেতিক শব্দ ডিকোড করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বাড়ি থেকেও ওই ধরনের ডাইরি উদ্ধার হয়। সেখানেও সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করে বহুকিছু লেখা ছিল। সেইসব সাংকেতিক শব্দ ডিকোড করার জন্য বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। এবার কুন্তলের ক্ষেত্রেও জেরা করে ওইসব সাংকেতিক শব্দের অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে।
এদিকে, ইডি সূত্রে খবর, জেরায় একাধিক মিডলম্য়ানের নাম নিচ্ছেন কুন্তল। তদন্তকারীরা মনে করছেন এভাবেই কুন্তল প্রভাবশালীদের আডাল করার চেষ্টা করছেন। আজ বিধাননগর হাসপাতালে ঢোকার সময়ে তিনি বলেন তাঁকে ফাঁসিয়েছে তাপস মণ্ডল। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে নীলাদ্রি ঘোষ, গোপাল দলপতির নাম। তারাই নাকি মধ্যস্থতা করতো। কিন্তু প্রভাবশালী প্রসঙ্গ উঠলেই তিনি চুপ করে রয়েছেন বলে খবর।