CPIM-সহ বাম দলগুলিকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় শামিল হতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কিন্তু সোমবার এই রাজনৈতিক যাত্রার শেষ দিনে হাজির থাকার বদলে কংগ্রেস সভাপতিকে চিঠি লিখে নিজেদের অনুপস্থিতির কারণ জানান CPIM রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammad Selim)। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সাফল্য কামনা করে অধীরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে অধীর চৌধুরী জানান, “মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ব্যস্ততার কারণে তিনি আসতে পারেননি। সাফল্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি ও তাঁর দল”। বামফ্রন্ট (Left Front) সূত্রে খবর, ২৩শে জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে ‘দেশপ্রেম দিবস’ পালন করে থাকে বামফ্রন্ট (Left Front)। সেই উপলক্ষে নানান কর্মসূচি থাকে দলের। তাই কংগ্রেসের ডাকে সাড়া দিয়ে কোনও বাম দলই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র শেষ দিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেনি।
উল্লেখ্য, CPIM ছাড়াও বাকি সমস্ত বাম দলগুলিকে অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়ে আমন্ত্রন করেছিলেন। এক্ষেত্রে CPIM-এর মতনই একই কারন দেখিয়ে কংগ্রেসের কর্মসূচিতে উপস্থিত না থাকার কথা বলেছে বাকি বাম দলগুলি। সূত্রের খবর, পৃথক ভাবে ভারত জোড়ো যাত্রায় হাজির থাকার জন্য চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকেও। কিন্তু দলের সিদ্ধান্তের পরে বিমানও কার্শিয়াংয়ে যাবেন না বলেই জানা গিয়েছে। যদিও কলকাতা এবং আশপাশের এলাকায় বামফ্রন্ট ঘনিষ্ঠ কিছু বুদ্ধিজীবী কংগ্রেসের পদযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন। কিন্তু আজকের অনুপস্থিতির পর রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সমীকরণ কোন জায়গায় দাঁড়ায়, সেটাই দেখতে চাইছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।