Indian Railways Jobs : মুদি দোকানে বসে রেলের মোটা মাইনের চাকরি, কী ভাবে অসাধ্য সাধন করলেন অভিষেক? জানুন – jalpaiguri youth abhishek prasad got job in indian railway after a lot of struggle


এ এক অদম্য লড়াইয়ের কাহিনী। সংসারে ছিল অসচ্ছলতা, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। তার মধ্যেই লড়াই চালিয়ে গিয়েছে বছর ২৫-র এক যুবক। বাবা পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। খুবই স্বল্প বেতন পান। সংসার চালাতে পরিবার বাড়িতেই ছোট্ট মুদি দোকান চালায়। তবু স্বপ্নে পথে আগুয়ান হওয়া থামায়নি সেই যুবক । কঠোর পরিশ্রমে সফলতাও মিলেছে। মাল শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পানোয়ার বস্তি এলাকার ২৫ বছর বয়সী অভিষেক প্রসাদ রেল বিভাগের স্টেশন মাস্টার পদে যোগ দিয়েছে। পড়াশুনোর পাশাপাশি পরিবারের দোকান সামলাতেও একসময় হয়েছে অভিষেককে। সমস্যার মধ্যে লড়াই চালিয়ে জয়ী হওয়ার নাম এখন অভিষেক। তরুণের সাফল্যকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সকলেই।

Sealdah Train : জগদ্দল স্টেশনে হকার উচ্ছেদ অভিযান, পুনর্বাসনের দাবি তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের

মাল শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পানোয়ার বস্তি এলাকায় বাড়ি অভিষেক প্রসাদের। বাবা সঞ্জয় প্রসাদ পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। মা পুষ্পা প্রসাদ গৃহবধূ। দুই বোন নিশা এবং খুশবু এখনও স্কুল পড়ুয়া। ১৯৯৭ সালে জন্ম নেওয়া অভিষেক ছোটবেলা থেকে মেধাবী। বাড়ির অদূরেই হিন্দি মাধ্যমের বিএল উচ্চবিদ্যালয়ে আমার পড়াশুনো। ২০১৩ সালে মাধ্যমিকে ৭০% নম্বর পেয়ে পাশ করেছিলেন অভিষেক। উচ্চমাধ্যমিকে ৭৪ শতাংশ নম্বর নিয়ে ২০১৫ সালে উত্তীর্ণ হয় । এরপর মাল পরিমল মিত্র স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে স্নাতক পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি।

Train to North Bengal: সবেধন নীলমণি ২টি ট্রেন! করোনায় বন্ধ হওয়া পরিষেবা আজও চালু না হওয়া ক্ষুব্ধ দক্ষিণ দিনাজপুর
বাড়িতে রয়েছে ছোট্ট দোকান। সংসার চালানোর জন্য দোকানে বসেই দোকানদারির পাশাপাশি চলত পড়াশুনো। অভিষেক দোকানে বসেই পড়াশোনা করতো। পাশাপাশি দোকানও সামলাতেও হয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তুতির জন্য কোনও কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়নি সে। নিজেই বই কিনে পড়াশোনা করেছে। মাঝেমধ্যে ইউটিউব বা অন্য মাধ্যমের সহযোগিতা নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছিল অভিষেক। মূল লক্ষ্য ছিল রেল বিভাগের স্টেশন মাস্টার। শেষ পর্যন্ত নিজের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে কামাল করেছে অভিষেক। নিয়োগপত্র পাবার পর সদ্য রঙ্গিয়াতে গিয়ে স্টেশন মাস্টারের পদে ইতিমধ্যেই যোগদান করেছে সে।

NJP to Howrah Vande Bharat Express : দরজা ধরে ঝুলে বন্দে ভারতে ওঠার চেষ্টা, যাত্রীর প্রাণ বাঁচাল RPF
অভিষেকের সাফল্যে খুশি গোটা পরিবার। মা পুষ্পা প্রসাদ বললেন ‘ও ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। পড়াশুনা করতে ভালোবাসে। ওকে আমাদের বাড়তি কিছু বলতেই হয় নি।’ অন্যদিকে তাঁর বাবা সঞ্জয় প্রসাদের কথায়, ‘ও সংগ্রামের মাধ্যমেই সফল হয়েছে।’ অভিষেক নিজে বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ছিল স্টেশন মাস্টার হওয়ার। তা পূরণ হয়েছে, তাই আমি ভীষণ খুশি। আমি মনে করি লক্ষ্য স্থির থাকলে নিবিড় প্রস্তুতি নিলে অনেকে সফল হতে পারে। ‘



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *