মাল শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পানোয়ার বস্তি এলাকায় বাড়ি অভিষেক প্রসাদের। বাবা সঞ্জয় প্রসাদ পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। মা পুষ্পা প্রসাদ গৃহবধূ। দুই বোন নিশা এবং খুশবু এখনও স্কুল পড়ুয়া। ১৯৯৭ সালে জন্ম নেওয়া অভিষেক ছোটবেলা থেকে মেধাবী। বাড়ির অদূরেই হিন্দি মাধ্যমের বিএল উচ্চবিদ্যালয়ে আমার পড়াশুনো। ২০১৩ সালে মাধ্যমিকে ৭০% নম্বর পেয়ে পাশ করেছিলেন অভিষেক। উচ্চমাধ্যমিকে ৭৪ শতাংশ নম্বর নিয়ে ২০১৫ সালে উত্তীর্ণ হয় । এরপর মাল পরিমল মিত্র স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে স্নাতক পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি।
বাড়িতে রয়েছে ছোট্ট দোকান। সংসার চালানোর জন্য দোকানে বসেই দোকানদারির পাশাপাশি চলত পড়াশুনো। অভিষেক দোকানে বসেই পড়াশোনা করতো। পাশাপাশি দোকানও সামলাতেও হয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তুতির জন্য কোনও কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়নি সে। নিজেই বই কিনে পড়াশোনা করেছে। মাঝেমধ্যে ইউটিউব বা অন্য মাধ্যমের সহযোগিতা নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছিল অভিষেক। মূল লক্ষ্য ছিল রেল বিভাগের স্টেশন মাস্টার। শেষ পর্যন্ত নিজের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে কামাল করেছে অভিষেক। নিয়োগপত্র পাবার পর সদ্য রঙ্গিয়াতে গিয়ে স্টেশন মাস্টারের পদে ইতিমধ্যেই যোগদান করেছে সে।
অভিষেকের সাফল্যে খুশি গোটা পরিবার। মা পুষ্পা প্রসাদ বললেন ‘ও ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। পড়াশুনা করতে ভালোবাসে। ওকে আমাদের বাড়তি কিছু বলতেই হয় নি।’ অন্যদিকে তাঁর বাবা সঞ্জয় প্রসাদের কথায়, ‘ও সংগ্রামের মাধ্যমেই সফল হয়েছে।’ অভিষেক নিজে বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ছিল স্টেশন মাস্টার হওয়ার। তা পূরণ হয়েছে, তাই আমি ভীষণ খুশি। আমি মনে করি লক্ষ্য স্থির থাকলে নিবিড় প্রস্তুতি নিলে অনেকে সফল হতে পারে। ‘