এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ”এখানে আরশোলা কামড়ালেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে দিচ্ছে। আর অন্যান্য রাজ্যে কিছু নেই। কথায় কথায় বাংলাকে অসম্মান করা আর নিজেদের বেলায় সাধু। এখানে কটা কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছে বলুন। আর ওদিকে এক বৃদ্ধাকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গেল গাড়ি কটা দল পাঠিয়েছে দেখতে? উত্তরপ্রদেশে কটা কেন্দ্রীয় দল গিয়েছে?”
এখানেই শেষ নয়, এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক প্রসঙ্গ চেনে সরব হন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত আসামী উন্নাওয়ের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ককে শুনছি প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে। আমি পুরোটা জানি না, তবু এক বার ক্রস চেক করে নেব। এই বিধায়কের মুক্তিতে একটা চালাকি আছে। কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে ৫০-৬০ বছরের উপর যাদের বয়স তাদের ছেড়ে দাও। আমার কাছেও এই নির্দেশ এসেছে। আমরাও ৪০০-৫০০ জনকে ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আমার কাছে যখন ফাইল সাইনের জন্য এসেছে। তখনই আমি জিজ্ঞাসা করেছি তালিকায় ধর্ষক কেউ আছে নাকি। য়েই শুনেছি তিন-চার জন আছে, আমি সোজা বলেছি এই নামগুলো বাদ দিয়ে ফাইল পাঠাও নইলে আমি সই করব না। আমি খুব জেদি। একবার না মানে না। হ্যাঁ মানে হ্যাঁ। যার থেকেই অনুরোধ আসুক, বদলাবে না।”
উল্লেখ্য, উন্নাওয়ের এই ধর্ষণকাণ্ডের জল গড়িয়েছিল বহুদূর। বহু লড়াইয়ের পর অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের অপরাধ প্রমাণে সক্ষম হয় নির্যাতিতা। কিন্তু, এভাবে তিনি প্যারোলে মুক্তি পাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ নির্যাতিতা।
কেন্দ্রকে এদিন নেতাজির তৈরি প্ল্যানিং কমিশনের অবলুপ্তি নিয়েও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন, “আমার বুদ্ধি-সুদ্ধি একটু কম বলে তাই হয়ত বুঝি না। আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর তৈরি করা সেই প্ল্যানিং কমিশনই আজ নেই। তুলে দেওয়া হয়েছে।”