Siliguri News: আগুন গিলেছে পড়শির ছাদ, বউভাতের আয়োজনে কাটছাঁট করে মুসলিম পরিবারের পাশে গুপ্ত পরিবার – siliguri family cooked khichdi for the needy family who lost their home in fire incident


West Bengal Local News একদিকে বিয়ের উৎসব অন্যদিকে পুড়ে ছাই কয়েকটি পরিবারের শেষ সম্বলটুকুও। নিজেদের উৎসবের দিন বলে পড়শির এমন বিপদে মুখ ফিরিয়ে থাকা তো যায় না! বিপদের সময়ে শহর যেন সম্প্রীতির পাঠ দিল সকলকে। গত ২১ জানুয়ারি শিলিগুড়ি এক নম্বর ওয়ার্ডের ধরমনগরে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে যায় প্রায় ১৫ টি বাড়ি। ১০টি বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই।

এমন বিপদের দিনে সম্প্রীতির ছবি দেখা গেল শিলিগুড়িতে। আগুনে পুড়েছে হাড়ি কড়াই থেকে শুরু করে পুড়ে গিয়েছে পোশাক, টাকা। ত্রিপল টাঙিয়ে দিন কাটছে হাকিমল ইসলাম, মহম্মদ খলিল, মহম্মদ রফিকদের। তাঁদের দুর্দিনে এগিয়ে এল শ্রবণ কুমার, চন্দন গুপ্তারা। ধরমনগরে জাতি-ধর্মের বিভেদ ভুলেই এমন বিপদের দিনে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। এমনকি নিজের বৌভাতের অনুষ্ঠানের রান্নার মাঝেই সর্বস্ব হারানোদের জন্য খিচুড়ি বানিয়ে তা নিয়ে পৌঁছাতে দেখা গেল এক পরিবারকে।

Siliguri Fire Accident : শিলিগুড়ির বস্তিতে ভয়াবহ আগুন, একাধিক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ

শনিবার বউভাত ছিল ধরমনগরের বাসিন্দা গুপ্তা পরিবারের এক যুবকের। সকালে বাড়ির সামনেই পরিবারের সকলে দেখেন দাউ দাউ করে জ্বলছে পড়শিদের আস্তানা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায় আগুনে পরিবারগুলির সমস্ত কিছু পুড়ে গিয়েছে। এমনকী চাল, ডাল, টাকা, পোশাক কিছুই নেই। উৎসবের দিনে বাড়ির পাশের মানুষগুলোর এমন সর্বনাশে নিজেদের বাজেট কাটছাঁট করে পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করে গুপ্ত পরিবার। তাদের বাড়িতে বউভাতের অনুষ্ঠানের জন্য আনা চাল ডাল দিয়ে খিচুড়ি রাঁধেন। সেই খিচুড়ি খাওয়ানো হয়েছে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে। গুপ্তা পরিবারের সদস্য, চন্দন গুপ্তা বলেন, বিপদের সময় সকলের পাশে থাকা উচিত। মানবিক ভাবনা থেকেই সেদিন অনুষ্ঠানের বাজেট কাটছাঁট করে খিচুড়ি তৈরি করে পাঠাই।

Mecheda Fire: ভোরের আগুনে পুড়ে ছাই সরস্বতী প্রতিমা, লোন মেটানোর চিন্তায় প্রতিমা শিল্পী

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়াতে এগিয়ে এসেছে বহু মানুষ। এলাকার একটি ক্লাবের তরফেও সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রবণ কুমার কাহার নামে নব যুবক সংঘের এক সদস্য বলেন, আগুনে পরিবারগুলির সবকিছু পুড়ে গিয়েছে। আপাতত তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছি । ইতিমধ্যেই, প্রশাসনের তরফে পরিবারগুলিকে সাহায্য করা হয়েছে। ত্রিপল, পোশাক দেওয়া হয়েছে।

রবিবার ঘটনাস্থলে যান মেয়র গৌতম দেব। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন। মেয়র গৌতম দেব জানান, সরকারিভাবে পরিবারগুলির জন্য কী করা যেতে পারে তা দেখছি। পুরসভার তরফেও সাহায্য করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *