প্রসেনজিত্ সরদার: ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূলের একটি প্রতিবাদ সভা ও শান্তি মিছিল করার কথা ছিল বুধবার। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে ওই মিছিল ও সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সভা বা কোনওরকম জমায়েতের অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিস। পুলিসের তরফে বলা হয়েছে আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত হাতিশালা এলাকায় কোনও জমায়েত করতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দল। বুধবার পাকাপোল থেকে হাতিশালা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করার কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-বিমা করাতে গিয়ে দেখলেন গাড়ির মালিকই তিনি নন, আজব জালিয়াতিতে বিপাকে ব্যবসায়ী
তবে এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা হাকিবুল ইসলাম জানান, দল যদি সভা বা শান্তি মিছিল করতে বলে তাহলে তা হবে। আর দল যদি পারমিশন না দেন তাহলে তারা সেখানে কোন কিছু হবে না।
এদিকে, ওই শান্তি মিছিল বা সভা নিয়ে আরাবুল ইসলাম বলেন, আগেও আমরা মিটিংয়ের একটা ডেট করেছিলাম। দলের কর্মীরা তৈরি। রাতে দলের নির্দেশ এল মিটিং করা যাবে না। ফের একটা ডেট করলাম। এখন যদি কেউ মনে করে প্রশাসন জোর করে মিটিং বন্ধ করে দেবে তাহলে তা খুবই খারাপ। কারণ মানুষের কাছে খাবার বার্তা যাচ্ছে। নওশাদ সিদ্দিকি গ্রেফতার হয়েছে। খারাপ কাজ করেছে তাই গ্রেফতার হয়েছে। ওরা সিক্স লেনে কীভাবে অত্যাচার করছে, কীভাবে পার্টি অফিস ভেঙেছে আপনারা দেখেছেন। কলকাতায় পুলিসকেও মেরেছে।
শনিবার আইএসএফ ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়ের হাতিশালা। অভিযোগ ওঠে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর ও জ্বালিয়ে দিয়েছে। ওই দিনই ধর্মতলায় আইএসএফ কর্মীদের উপরে লাঠি চালায় পুলিস। গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ নেতা ও ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। ওই গ্রেফতারের পর থেকে হাতিশালায় উত্তেজনার পারদ আরও বেড়ে যায়।
এদিকে, হাতিশালায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি না দেওয়া হলেও ভাঙড়ে তৃণমূলের তরফে আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিবাদ ও শান্তি মিছিল হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে খবর। তবে ওই মিছিল হল পুলিস কী ভূমিকা নেয় সেটাই এখন দেখার।