সোমবার কাঁকিনাড়ার মানিকপীরে ভাটপাড়া পুরসভার (Bhatpara Municipality) ১০ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) উদ্যোগে আয়োজিত নেতাজীর জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে (Netaji Subhas Chandra Basu Birth Anniversary) এসে তিনি বলেন, “ভাটপাড়া (Bhatpara) ঐতিহ্যবাহী জায়গা। এখানে পন্ডিতরা থাকেন। গুন্ডারাও থাকেন। আর গুন্ডাদের শেষ করার দ্বায়িত্ব আমরা নিয়েছি।” শনিবার কাঁকিনাড়ার কাঁটাপুকুরের পাশ থেকে ১৫০টি তাজা বোমা উদ্ধার নিয়েই তাঁর এই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বলে মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
সোমবার ব্যারাকপুরের (Barrackpore) সাংসদ আরও বলেন, “পুলিশ খুব ভালো কাজ করছে। গুন্ডাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বোমাও উদ্ধার হচ্ছে। ভাটপাড়ার মানুষ শান্তি চান। কিন্তু কিছু মানুষ গুন্ডাদের হয়ে কথা বলছেন। তাদের খুব তাড়াতাড়ি সমাজ থেকে তাড়ানো হবে।” ‘কিছু কিছু মানুষ’ বলতে তিনি যে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল BJP-র দিকেই ইঙ্গিত করেছেন, একথা দাবি সহকারে জানাচ্ছেন এলাকার স্থানীয় তৃনমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্ব। সোমবার মূল অনুষ্ঠানের পরে দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। সাংসদ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাটপাড়ার উপ-পুরপ্রধান দেবজ্যোতি ঘোষ, সিআইসি অমিত গুপ্তা, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়, তৃণমূল নেতা সঞ্জয় সিং, পাপ্পু সিং, পিন্টু সিং, মন্নু সাউ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সোমবার মানিকপীরের এই অনুষ্ঠানের আগেই নেতাজির আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন ঘিরে চরম তরজায় জড়িয়ে পড়ে শাসকদলের দুই যুযুধান গোষ্ঠী। মূর্তি উন্মোচনের আগে ব্যাপকভাবে এলাকায় জমায়েত করে দুই গোষ্ঠীরই লোকজন। শেষমেশ প্রচুর পুলিশ ও RAF-এর উপস্থিতিতেই মানিকপীড় এলাকায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর এই মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন ভাটপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান রেবা রাহা। এই দুই গোষ্ঠী হল জগদ্দলের তৃনমূল বিধায়ক (TMC MLA) সোমনাথ শ্যাম ও ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের গোষ্ঠী। RAF এসেই সরিয়ে দেয় সেই জমায়েত। ঘটনাস্থলে চলে নাকা চেকিং। আর তারপরেই পুলিশ ও RAF-এর উপস্থিতিতে মানিকপীর বাজারেই নেতাজির আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন হয়।