প্রযুক্তির যুগে অনেকটাই পেছনের সারিতে চলে গিয়েছিল বাংলার এই শিল্পকলা। শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের রুটি-রুজির টান পড়তে শুরু করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই যাত্রা শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যাত্রা উৎসবের সূচনা করেছিলেন বারাসতের (Barasat) কাছারি ময়দান থেকেই। তারপর থেকেই বারাসাতে হয়ে আসছে বাংলার এই যাত্রা উৎসব। এদিন এই বছরের যাত্রা উৎসবের সূচনা করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ঘণ্টা বাজিয়ে করা হয় এই উৎসবের সূচনা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু সহ অন্যান্য বিধায়ক ও পৌর প্রতিনিধিরা। এদিন এই উৎসবের সূচনা হলেও রাজ্যের নানা প্রান্তে বেশ কিছুদিন ধরে চলবে এই যাত্রা উৎসব বিভিন্ন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে নানা যাত্রা পালা।
ফলে যাত্রাশিল্প আগের থেকে অনেকটাই বিস্তার লাভ করেছে বলে জানালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এমনকি যাত্রা শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের তরফ থেকে ১০০০ টাকা যাত্রা শিল্পীদের হাতে ভাতা তুলে দেওয়া হয় বলেও জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি গ্রাম ছাড়িয়ে এখন শহর ও শহরতলীতেও যাত্রা পৌঁছে গিয়েছে, বহু মানুষ এখন এই যাত্রা দেখেন বলেও জানান মন্ত্রী। এদিনের যাত্রা উৎসব ঘিরে যাত্রা শিল্পী সহ দর্শক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এক আলাদা উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। গোটা এলাকা সাজিয়ে তোলা হয়েছে পাশাপাশি বেশ কয়েকটি যাত্রাপালা এই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানা গিয়েছে।