রাইপুর ইস্কন মন্দির সূত্রে জানানো হয়েছে, মন্দিরের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বাঁশি, রাধারাণী, কৃষ্ণ ও চৈতন্য মহাপ্রভূর গলার মালা, পায়ের নুপুর, রুপোর বাটি, গ্লাস সহ অন্যান্য গয়নার পাশাপাশি আনুমানিক ২০ হাজার টাকাসহ প্রণামী বাক্সটিও নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরের দল। যদিও পরে মন্দিরের পাশের একটি ফাঁকা মাঠে ভাঙ্গা মাঠে ঐ প্রণামী বাক্স উদ্ধার হয়। ইস্কন মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবী সব মিলিয়ে খোয়া যাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। ঘটনার খবর পেয়ে মন্দিরে যায় স্থানীয় রাইপুর থানার পুলিশ (Raipur Police Station)। এই ঘটনার জন্য স্থানীয় পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছে ইস্কন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে লীলামৃত গোবিন্দদাস বলেন, “এর আগেও সাত বছর আগে এই ধরণের চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তখন পুলিশী তৎপরতায় চোরেরা ধরা পড়েছিল। তৎকালীন রাইপুর থানার পক্ষ থেকে দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer) নিয়োগ করা হলেও বর্তমান IC এসে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) তুলে নেন।”
ওই সেবাইত পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, “রাইপুর পাওয়ার হাউস মোড়ে লরি থেকে পুলিশ ‘তোলা তুলতে ব্যস্ত’ থাকলেও মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা খুবই উদাসীন। সাত বছর আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তখনও পুলিশ আশ্বাস দিয়েছিল কাজ হয়ে যাবে কিন্তু কিছু কাজ হয়নি। ফের চুরি হল।” পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যদিও শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এই ঘটনায় যুক্ত কাউকে পুলিশ আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি বলেই জানা গিয়েছে।
