আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূলের সঙ্গে সংষর্ষের আঁচ কলকাতাতেও পড়েছে। ভাঙড়ে সংঘর্ষের পরই কলকাতার ধর্মতলা মোড় অবরোধ করেন আইএসএফ নেতা-কর্মীরা। নেতৃত্বে ছিলেন আইএসফ বিধয়াক নওশাদ সিদ্দিকি। এই ঘটনায় রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। ব্যাপক লাঠি চার্জ শুরু করে কলকাতা পুলিশ। অবরোধকারী আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করার পর একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর পাশাপাশি বেশ কিছু আইএসএফ সমর্থককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত তাঁকে ১ ফেব্রুয়ারি অবধি পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে সংঘর্ষের পর ভাঙড়ের পরিস্থিতি যথেষ্টই থমথমে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ভাঙড়, কাশীপুর এবং কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ এলাকায় ক্রমাগত টহলদারি চালাচ্ছে। আদলত থেকে বেরিয়ে পুলিশ ভ্যানে ওঠার সময় রাজ্য সরকারকে ঝাঁঝালো আক্রমণ করেন ভাঙড়ের বিধায়ক। মানুষের হয়ে লড়াই চালিয়ে যাবেন, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে সোমবার প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল। সেই বৈঠকে ভাঙড়ে একটি মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, বুধবার ভাঙড়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) নেতৃত্বে হবে মিছিল। যে হাতিশাল এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছিল। সেখানেই মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভাঙর পরিস্থিতি এখন কোন দিকে যায় সেটাই দেখার।