স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা এই পোস্টার লাগিয়ে চলে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে বিজেপি বিধায়কের ছবি সহ ‘সন্ধান চাই’ পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুরের চাতরা রামাই পণ্ডিত কলেজ এলাকায়। পোস্টারে কারও নাম না থাকায় কে বা কারা ওই পোস্টার দিল বিষয়টি স্পষ্ট নয় কারও কাছেই। পোস্টারে লেখা হয়, ছাত্র ছাত্রীদের স্কলারশিপের আবেদনে বিধায়কের সইয়ের প্রয়োজন। ‘কোতুলপুর বিধানসভা এলাকা ঘুরেও বিধায়কের দেখা পাই নাই। তাই নিখোঁজ বিধায়কের সন্ধান চাই’। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন বিজেপি বিধায়ক। এর পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মেদিনীপুর সদর বিজেপি কার্যালয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন জেলা বিজেপির দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা। রবিবার ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার এক নেতাকে সুর চড়াতে শোনা যায় দলের একাংশের বিরুদ্ধেই। এরইমধ্যে গড়বেতায় ফের উঠে আসে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ। বিজেপির গড়বেতা মধ্যমণ্ডলের সভাপতি ঠাকুর দাস মিদ্যার সঙ্গে কার্যত হাতাহাতি হয় জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইতের। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সদস্য তথা চন্দ্রকোণার পর্যবেক্ষক শান্তিময় অভিযোগ করেন দলের রাশ রয়েছে অপরিপক্ব, দলবদল করা নেতাদের হাতে। এরপরই রবিবার সন্ধ্যায় গড়বেতার আমলাগোড়া শ্যাম সংঘ ভবনে সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে ঝামেলার অভিযোগ ওঠে।
