সোমবার পুরনো মালদার মঙ্গলবার দিদির দূতেদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পর এবার ইংরেজবাজারেও সেই একইভাবে ছড়াল বিক্ষোভ। ইংরেজবাজারের কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাগবাড়ি, ৫২ বিঘা, কৃষ্ণনগর এবং গোপালনগর এলাকার বাসিন্দারা একজোট হয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল বিক্ষোভে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে গ্রামের রাস্তা। ইংরেজবাজারের খোয়ার মোড় থেকে বাহান্ন বিঘা অবধি রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। গ্রামবাসীরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মহলে বারবার অভিযোগ জানিয়েছে। কিন্তু, রাস্তা সংস্কার হয়নি। এই গ্রামের রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে সাইকেল নিয়েও হাঁটা চলা দায়। এমনকী পোস্টার ঝুলিয়েও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে- ”বাগবাড়ি খোয়ার মোড় থেকে ৫২ বিঘা যাবার পাকা রাস্তা যতদিন না হচ্ছে, ততদিন আমাদের এলাকায় দিদির দূত এবং সকল প্রকার রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।” রীতিমতো ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। এই এলাকার গোপালনগর কৃষ্ণপুর এলাকা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খারাপ। তবে পোস্টারে যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে এটা স্পষ্ট গ্রামবাসীরা এই নিয়ে কোনও রাজনীতি নয়, প্রশাসনের থেকে রাস্তার উন্নয়ন চাইছেন।
ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের দাবি- ঘটনায় বিজেপির ইন্ধন আছে। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন,
”মানুষের খুব বিক্ষোভ শোনার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী এই কর্মসূচি নিয়েছে। আর বাকি যা হচ্ছে এটা বিরোধীদের চক্রান্ত।” বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, ”গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এই দিদির দূতদের দেখে। তারা ভাবতে শুরু করেছে ভোট লুটেরা আবার আসছে। আর সেই কারণেই এই পরিস্থিতি হচ্ছে।”
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ”দিনের পর দিন অনাচারে তিতি বিরক্ত মানুষ। তৃণমূল আগ্রাসনের সামনে আর মাথা নত করে নেই এবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে মানুষ। এই বিক্ষোভ শুধু উত্তরবঙ্গে নয়, এবার ছড়িয়ে পড়বে দক্ষিণেও।” তৃণমূল নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ”আগে নেতারা গেলে মানুষ খুশি হত, এখন বিক্ষোভ দেখায়।”