West Bengal Local News হাওড়ার শ্যামপুরের নস্করপুরে ভয়াবহ ঘটনা। ফের প্রকাশ্য রাস্তায় শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে ইভটিজারদের হাত বেধড়ক মার খেলেন বাবা। মারের চোটে সাংঘাতিক আহত হন ওই ব্যক্তি। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও মৃত্যু হয় বাবার।
জানা গিয়েছে, টিউশন সেরে বাবার সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন নাবালিকা কন্যা। অভিযোগ, সেসময় পাড়ারই পরিচিতি তিন যুবক রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। সেসময় তারা প্রত্যেকেই মদ্যপ ছিল বলে অভিযোগ। ব্যক্তির সাইকেলের সামনে এসে কিশোরী মেয়ের হাত ধরে টানাটানি করে বলে অভিযোগ। মেয়েকে বাঁচাতে ঢাল হয়ে দাঁড়ান বাবা। ওই তিন যুবকের সঙ্গে ব্যাপক হাতাহাতি শুরু হয় তাঁর। তিনজন বেধড়ক মারেন ওই ব্যক্তিকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানে ফেলে পালিয়ে যান তাঁকে। সাংঘাতিক আহত ওই ব্যক্তিকে প্রথমে শ্যামপুরের একটি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । । মৃত ব্যক্তির নাম গণেশ মণ্ডল। বয়স ৩২ বছর। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত শ্যামপুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক। Kolkata Road Accident : সরশুনায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা! লরির চাকায় পিষ্ট মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের মাথা
সেই সময় অভিযুক্তরা ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। সেই সময় ছাত্রী চিৎকার করলে তার বাবা গণেশ মন্ডল মেয়েকে বাঁচাতে এলে অভিযুক্ত যুবকেরা ছাত্রীকে ছেড়ে দিয়ে গনেশ মন্ডলকে একটি ফাঁকা জায়গায় টেনে নিয়ে যায়। তাঁকে সেখানে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে সে মরে গিয়েছে ভেবে তাঁকে ওই অবস্থায় ফেলেল পালায় দুষ্কৃতীরা। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে উলুবেড়িয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।
সোমবার বিকেলে সেখানেই গণেশ মণ্ডলের মৃত্যু হয়। এদিকে এই ঘটনার পর মৃত গণেশ মণ্ডল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শ্যামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতকে মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হয়।