তিনি ছিটকে পড়তে মেলাজুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মেলা উদ্যোক্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তড়িঘড়ি স্থানীয় চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে মানস মণ্ডলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরে জয়পুর থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মেলা উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে আগে থেকে এখানে জাম্পিং জোনের বসানোর কোনও পরিকল্পনা না থাকলে রবিবার মানসের তরফে তাঁর ফোন পান। উদ্যোক্তাদের অনুমতি নিয়ে সোমবারই তিনি সেখানে চলে আসেন এবং তাড়াহুড়ো করে প্রস্তুতি সারতে থাকেন। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
মেলার অন্যতম উদ্যোক্তা সৌমেন্দ্রনাথ কোলে ‘রবিবার মানস মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি আমাদের ফোন করে জাম্পিং জোন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এখানে জায়গা অল্প কিন্তু, মেলায় আসা বাচ্চাদের কথা ভেবেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সকালে বসানোর কথা থাকলেও উনি বিকেল থেকে যাবতীয় কাজ শুরু করেন। আমার অন্যদিকে ব্যস্ত ছিলাম। তখন বিকট শব্দ হয় এবং উনি ছিটকে মাটিতে পড়ে যান।’ মেলা উদ্যোক্তাদের তরফে মৃত যুবকের পরিবারকে খবর দেওযা হয়।
মেলায় আগত স্থানীয় বাসিন্দা তুলি রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা মেলাতে ঘুর ছিলাম। আমাদের সামনেই একজনকে ছিটকে পড়ে যেতে দেখি। ওনার মাথায় একজন জল দিচ্ছিলেন। তখনই জানতে পারি উনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন। এইভাবে মেলাতে এসে মারা যাবেন তা ভাবাই যাচ্ছেন না।’