এর ফলে অনেকের বাড়ি জমি চলে যাচ্ছে ওপারে বাংলাদেশে। এমন ভাবে কাঁটা তার দিলে অনেকটাই অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজনের। আন্তর্জাতিক সীমানায় কাঁটা তার বসানোর নিয়ম অনুযায়ী প্রকৃত সীমান্ত থেকে ১৫০ গজ দূরে কাঁটা তার ফেলা যায়। কিন্তু সেই নিয়ম লঙ্ঘন করে অনেক জায়গাতেই বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। নিয়ম মেনে কাজ কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার করতে হবে – এই অভিযোগ তুলেই এদিন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “যেভাবে বেড়া দেওয়ার কাজ হচ্ছে আমাদের জায়গা তো বাংলাদেশে চলে যাবে। কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে না।” ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভীমপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমনকি ওই এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে গণ্ডগোলের জেরে আপাতত কাঁটা তার বসানোর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কাঁটাতার নির্মাণে ত্রুটির পাশাপাশি বিএসএফের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে অভিযোগ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হলেও তারা এখনও স্বাধীন হয়নি। সীমান্তবর্তী এলাকায় আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে পরিচিতরা এলে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখে সীমান্ত রক্ষীরা। সীমান্ত রক্ষীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অভিযোগ তুলে এদিন বিক্ষোভে সামিল হয় মলুয়াপাড়া গ্রাম কমিটি। ভীমপুর থানা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে। উল্লেখ্য, মূলত
সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান আটকাতে বিএসএফের পক্ষ থেকে চাপড়া ব্লকের ফেনসিংহীন মলুয়াপাড়া, রাংগিয়াপোতা, মহাখোলা, হুদাপাড়া ইত্যাদি এলাকায় কাঁটাতার বসানো শুরু হয়। পরবর্তী কালে আদালতে মামলা করেন স্থানীয় গ্রাম রক্ষা কমিটি। পরে আদালতের কড়া নির্দেশ ছিল ১৫০ গজ পরিমাপ বজায় রেখে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণের ব্যাপারে।