আজ, মঙ্গলবার আলমগীর শেখকে তার শ্বশুরবাড়ি খড়গ্রাম এলাকার এড়োয়ালি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টিম। মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে এড়োয়ালি পৌঁছয় পুলিশ বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আলমগীর সেখ বর্ধমান জেলার বাসিন্দা। তবে খড়গ্রামে শেষ কয়েকদিন শ্বশুরবাড়িতে ছিল সে। আলমগীর গুজরাতে কর্মরত ছিল। কাজ থেকে দুই মাসের জন্য ছুটি নিয়ে সে বাড়ি ফিরেছিল। এরপর গত শনিবার নিজের স্ত্রীকে নিয়ে ফোর্ট উইলিয়াম আসে সে। স্ত্রীকে নিয়ে কিছু কেনাকাটা করে। স্ত্রীকে বাসে তুলে দিয়ে আলমগীর চলে যায় ধর্মতলায় আইএসএফের সভায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার ধর্মতলায় ধুন্ধুমারের পর হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে আলমগীরকে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ধর্মতলায় একটি সভার আয়োজন করেছিল আইএসএফ। আইএসএফের অভিযোগ, সেই সভায় যোগদান করার জন্য কলকাতা আসার পথে ভাঙরে তাদের দলের সমর্থকরা আক্রান্ত হন। তৃণমূল কর্মীরা নওশাদ সিদ্দিকির দলের সমর্থকদের মারধর করে বলে অভিযোগ তাদের। অপর দিকে আইএসএফের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে ভাঙরের তৃণমূল কর্মীরাও। ভাঙরের ঘটনার পর ধর্মতলায় দুপুর থেকেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে আইএসএফের কর্মী-সমর্থকেরা। তাদের বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ধর্মতলা চত্বর। আইএসএফের অভিযোগ, পুলিশ তাদের সমর্থকদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। এরপর আইএসএফ দলের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করা হয়।