সামনেই ২৬ জানুয়ারি। গোটা দেশে প্রজাতন্ত্র দিবস অনুষ্ঠিত হবে। তাই কোনও ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইছে না স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ভীতি প্রদর্শনের জন্য এই কাজ করেছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে জঙ্গলমহলে বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা। ধৃতের সাথে কোন মাওবাদী যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে। ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতকে মঙ্গলবার দুপুরেই পেশ করা হবে মেদিনীপুর আদালতে। অভিজিতের গ্রেফতারিতে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাদের দাবি, অভিজিত এই ধরনের কাজে যুক্ত থাকতে পারে তা ঘুণাক্ষরে জানতে পারেনি কেউই। এই পোস্টারের পিছনে আদৌ মাওবাদীরা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কয়েকমাস আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পর ঝাড়গ্রাম উদ্ধার হয় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঝাড়গ্রাম ব্লকের গজাশিমুল এলাকায় কাগজে লাল রঙের কালি দিয়ে লেখা এই পোস্টার দেখা গিয়েছিল। সেই পোস্টারে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এমনকী নেতারা কোনও কাজ করছেন না সেই কথাও জানানো হয়েছিল।
বাম আমলে জঙ্গলমহলে মাওবাদী পোস্টার ছিল এলাকাবাসীর ত্রাস। নাম করে সিপিএম নেতাদের খুনের হুমকি দেওয়া হতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহলে পরিস্থিতি খানিক বদল হয়। কিন্তু, বিগত কয়েকমাসে গোটা জঙ্গলমহলে এই ধরনের একাধিক পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। যদিও মাওবাদীদের অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি দুষ্কৃতীরার এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। মাওবাদী পোস্টারের মাধ্যমে জঙ্গলমহলে তোলাবাজির ঘটনাও ঘটেছে।