চাকরিপ্রার্থীরা দলে দলে সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশন থেকে বেরোনোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের পুলিশের গাড়িতে ও নির্দিষ্ট বাসে তোলা হয়। চাকরিপ্রার্থীরা বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। মুখের কথাতে কাজ না হওয়ায় পুলিশকে এই চাকরি প্রার্থীদের রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে বাসে তুলতে দেখা যায়। এলাকায় মহিলা চাকরি প্রার্থীদের সামলানোর জন্য বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত ছিলেন মহিলা পুলিশকর্মীরাও। এই অবস্থায় নাছোড়বান্দা মহিলা চাকরি প্রার্থীদের রীতিমতো তুলে নিয়ে গিয়ে চাকরি প্রার্থীদের জন্য রাখা নির্দিষ্ট বাসে তোলা হয়। চাকরি প্রার্থীদের চাকরির দাবিতে এদিন বিকাশ ভবন পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, যেহেতু বিকাশ ভবনের (Bikash Bhavan) সামনে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে তাই এখানে কোনও জমায়েতের অনুমতি নেই। এদিকে, আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের অপর একটি গ্রুপ সল্টলেকে সি এল ব্লকের (Salt Lake CL Block) ভিতরে রাস্তায় বসে পড়েন। তাঁদের তুলতে পুলিশের রীতিমতো কালঘাম ছুটে যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, প্রায় ১৫০ জন এসএলএসটি (SLST) চাকরি প্রার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসএলএসটি চাকরি প্রার্থী, যাঁরা ২০১৬ সালে পাশ করেন তাঁদের আন্দোলন ইতিমধ্যেই প্রায় ৭০০ দিনের কাছাকাছি হয়ে গিয়েছে। মাঝে মধ্যেই সল্টলেকে বিকাশ ভবন অভিযান করতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের। যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই বলে দিয়েছেন, আন্দোলন করে চাকরি পাওয়া যাবে না। যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে চাকরি। কিন্তু এদিনের আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, যোগ্যতা যাচাই তো পরের কথা। আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হোক। চাকরিপ্রার্থীরা এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “এখন তো যোগ্যতার ভিত্তিতে কেউ কাজের দাবি জানালেই পুলিশ আটকাবে। পুলিশ বলবে, তাদের জন্য সবকিছু বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা যখনই আন্দোলন করি, শান্তিপূর্ণভাবেই করি। কিন্তু পুলিশ প্রত্যেকবার এসে আমাদের মারধর করে থানায় তুলে নিয়ে যায়। আন্দোলন করাটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে।”