পুরসভা সূত্রে খবর, প্রথম ধাপে শহরের ২০টি পার্ক এবং পাড়ার রাস্তায় ৫০০টি সোলার ট্রি বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ডাকা হবে টেন্ডার। শহরের বেশ কয়েকটি পার্কে কয়েক বছর আগেই সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয়েছে। তাতে বিদ্যুতের বিল অনেকটাই কমানো গিয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফেও সম্প্রতি বিদ্যুতের খরচ এবং পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে বিকল্প শক্তি ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লাগোয়া নিউ টাউনে (Newtown) বিদ্যুতের খরচ বাঁচাতে সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে জ্বলে এমন ১২০০টি স্টাড লাইট বসিয়েছে নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ। হিডকো, এনকেডিএ ভবনেও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার শুরু হয়েছে। যার জেরে আগের তুলনায় বিদ্যুৎ বিল ১৬ শতাংশ কমেছে বলে দাবি এনকেডিএ-র কর্তাদের। ওই প্রসঙ্গ টেনে পুর-দপ্তরের এক কর্তা বলেন, কলকাতার মতো শহরেও বিকল্প শক্তির ব্যবহার বাড়ানো ভীষণ জরুরি। এ জন্যে আমাদের তরফে যা যা সহায়তা প্রয়োজন, তা করা হবে।
পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক তড়িৎ রায়চৌধুরী বলেন, “পুনে, বেঙ্গালুরুতে সোলার ট্রি ভীষণ জনপ্রিয়। এর দ্বারা সৌরশক্তিকে যেমন কাজে লাগানো যাবে, তেমনই বিদ্যুতের সাশ্রয়ও হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের অনান্য শহরেও এই ধরনের উদ্যোগ জরুরি।”
সোলার ট্রি : উচ্চতা ৪ ফুট, ছায়া দেবে, জ্বলবে আলো, সাশ্রয় বিদ্যুতে, শীতের সময়ে ধূলিকণা নষ্ট করবে সোলার ট্রিতে থাকা স্প্রিঙ্কলার, সারাদিন সূর্যের তাপে সৌরশক্তি সঞ্চয় করা গেলে ৩২ ঘণ্টা পর্যন্ত জ্বলবে আলো।