পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর কয়েক মাস বাকি। তার আগে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিতে চাইছে শাসক, বিরোধী উভয় শিবিরই। তবে পূর্ব মেদিনীপুরে জেলার উপর বাড়তি নজর রয়েছে তৃণমূলের। সেক্ষেত্রে এই জেলা থেকে একের পর সমবায় সমিতিতে জয়লাভ এবং মাঝেমধ্যেই ভিন্ন দল ছেড়ে শাসকদলে যোগ দেওয়ার ঘটনা নির্বাচনের আগে তাঁদের বাড়তি অক্সিজেন যোগাচ্ছে বলেই ধারণা তৃণমূলের অন্দরে। নাম না করে এদিন বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করেন পটাশপুর বিধান সভার বিধায়ক উত্তম বারিক। তিনি জানান, আগে পটাশপুরে বিরোধী দলকে মিটিং, মিছিল করতে দেওয়া হতো না। কেননা তৎকালীন যে নেতৃত্ব ছিল, তিনি ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এটা করতে দিতেন না। এখন তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। ভয়-ভীতি থেকে নয়, স্বেচ্ছায় একাধিক পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন বলে দাবি তাঁর।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি নেতা জয়দেব দাস। গত ৫ নভেম্বর নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার মনসাবাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সভায় কুণাল ঘোষের হাত ধরে নতুন দলে যোগ দেন জয়দেব। তাঁর সঙ্গে বহু বিজেপি কর্মীও যোগ দেন। দক্ষিণ মণ্ডলের জয়দেব দাস ছিলেন বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য। পাশাপাশি চণ্ডীপুর বিধানসভায় বিজেপির পর্যবেক্ষক। সম্প্রতি দলের সমস্ত পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এরপরেই তিনি তৃণমূযে যোগ দেন।