বানিজ্যিক ভাবে কুল চাষে যুক্ত কালিয়াগঞ্জের জীতেন বর্মন নতুন কিছু করার চেষ্টা ছিল দীর্ঘদিনের। বেশ কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় ক্রসব্রিড আপেল-কমলা কুলের সঠিক ফলন পেয়েছেন জিতেন। এই আপেল-কমলা ক্রসবিড কুল চাষে সফলতার কথা তুলে ধরে জিতেনের বার্তা, যাদের স্বল্প জমি বা চাষের অযোগ্য জমি রয়েছে তারা নার্সারি থেকে চারাগাছ সংগ্রহ করে কুল চাষে যুক্ত হলে নিশ্চিত ভাবেই লাভবান হবেন। কলম পদ্ধতির কুলের চারাগাছে মাত্র একবছর বয়সে ফলন শুরু হয়। আপেল কুল, নারকেল কুলের চাহিদা বেশ ভালো।
বেশ কয়েকবছর আগে প্রথাগত চাষাবাদ থেকে সরে এসে নিজের এগারো কাঠা জমিতে কুল চাষ শুরু করেছিলেন জিতেন এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। সাধারণ দেশি কুল, কাশ্মীরি আপেল কুল, নারকেল কুলের পাশাপাশি নিজস্ব আপেল-কমলা ক্রসবিড মিলিয়ে এবছর ১৩ কাঠা জমিতে চার প্রজাতির কুল চাষ করেছেন। ইতিমধ্যেই বাজারে পাইকারি ৯০ টাকা কেজি দেশি কুল বিক্রি করেছেন জিতেন। এখন দেশি কুলের পাশাপাশি কাশ্মীরি আপেল কুল, নারকেল কুল এবং আপেল-কমলা ক্রসব্রিড কুল বিক্রির জন্য বাজারে ছাড়া হবে। এই প্রসঙ্গে জিতেন বর্মন বলেন, ‘জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ ও সঠিক পরিচর্যা করলে একটি গাছ থেকে ২০-২৫ কেজি কুল পাওয়া যায়। আর এতে বাড়তি লাভ ভালোই হয়। ‘