এদিন নিজের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে আরাবুল জানিয়েছেন, দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই আপাতত মিছিল স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগামিকাল প্রজাতন্ত্র দিবস ও সরস্বতী পুজো রয়েছে। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। আমরা সরকার পক্ষের লোক, সেই কারণে জোর করে কিছু করতে চাইনি। গতকাল রাত ১১ টা অবধি এই কর্মসূচি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়। সেখানেই এই মিছিল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তীকালে আমার এই মিছিল করব, সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ার কারণেই এই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। সব অঞ্চলের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। নেতা-কর্মীরা বুঝতে পেরেছেন যে কোনও কারণের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী দিন রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে এই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে বুধবার কলকাতায় নাগরিক মিছিলের ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা ISF। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ ১৮ আইএসএফ নেতাকর্মীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে এই মিছিলেন ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবস ও সরস্বতী পুজোর কথা মাথায় রেখেই আইএসএফের মিছিলে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ অন্যদিকে মিছিল করার ব্যাপারে অনড় ISF। আইএসএফের রাজ্য সহ সম্পাদক লক্ষীকান্ত হাঁসদা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘পুলিশ পুলিশের কাজ করবে , আমরা আমাদের কাজ করব। তাই আজকে কলকাতায় নাগরিক সমাজের যে মিছিল তাতে আমরা আসছি। আপনারা এবং সমস্ত শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন ও গনতন্ত্র প্রিয় মানুষেরাও এই মিছিলে সমবেত হন। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি মুক্তি না পাওয়া অবধি আমাদের লড়াই চলবে।’