এলাকায় কোন সমস্যা রয়েছে কিনা সে সব জানতে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ ‘কর্মসূচির অন্তর্গত দিদির দূতেরা গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে সঙ্গে কোচবিহার জেলাতেও এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখেও পড়ছেন শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা। তবে এই প্রথম নয়, আগেও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন। ১৫ই জানুয়ারি চিলকিরহাটে ‘দিদির দূত’ হিসাবে গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। সেখানে তাঁকে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। ‘দিদির দুত’ কে কাছে পেয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন জনৈক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ ছিল স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জবকার্ড করে দেওয়ার নামে তার কাছে টাকা নিয়েছে। সেদিন ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি এলাকবাসীকে বলেন, ‘কোথাও কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওযার নামে কেউ যদি টাকা চায় তবে আমাকে জানাবেন। আমি তাদেরকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করব। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে।’
বুধবার শীতলকুচি ব্লকের বড় কৈমারী গ্রামে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এলাকার বাসিন্দারা বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা সে সম্পর্কে খোঁজ নেন উদয়ন বাবু। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে অভিযোগ করে বলেন কৈমারী গ্রামের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতি সবাইকে অভিযোগ জানালেও কাজ হয়নি। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাস্তা সংস্কার না হলেও ভোট বয়কট করা হবে। যদিও পড়ে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়ে সেই এলাকা থেকে বের হন ‘দিদির দূত’ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী।