মঙ্গলবার রাতে আবারও শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বাসন্তী (Basanti)। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই সময় এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা মারছিলেন ওই যুব তৃণমূল কর্মী। হঠাৎ তাঁর উপর চড়াও হয় কিছু দুষ্কৃতী। লাঠি, রড দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মারধরের ঘটনার পরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আহত যুবক মোরসেলিম দাবি করেছে, ঢুঁড়ি এলাকায় বেশ কিছু দুষ্কৃতী এবং সমাজবিরোধী রয়েছে। যারা বর্তমানে তৃণমূলের প্রধান দলের ছত্রছায়ায় রয়েছে। তাদের সঙ্গে দল করতে হবে বলে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য না দেওয়ার কারণেই এমন অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। গোটা ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে ওই যুব কর্মী ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে (Canning Sub-Divisional Hospital) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এলাকায় রয়েছে উত্তেজনা। যদিও তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠী দাবি করেছে, বাসন্তীতে তৃণমূলের মিটিংয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হচ্ছিল। আমরা তাতে বাধা দিই। প্রতিরোধ গড়ে তুলি। দুই পক্ষের বিরোধের ঘটনায় শাসক দলের অন্তর্দ্বন্দের বিষয়টি আরও একবার প্রকট হয়ে উঠল বলে অনেকের মত।
দুদিন আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাসন্তী। গত বুধবার রাজ্য BJP বাসন্তীতে একটি জনসভা করে। সেই জনসভার পাল্টা দিতে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) উদ্যোগে রবিবার বিকালে এক জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। জনসভায় মুখ্য বক্তা ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রবিবার মন্ত্রী যখন বাসন্তীর সভাস্থলে যাচ্ছিলেন, সেই সময় বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক মন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। গতকালের সেই জনসভার পর সোমবার সকালে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাসন্তী। যুব তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়। অভিযোগ ছিল মাদার তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় এক যুব তৃণমূল কর্মী।