আর বুধবার সকালে দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচি পালনে আমডাঙা ব্লকেরই একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে (Block Health Center) আসেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ (MLA Nirmal Ghosh)। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রফিকুল রহমান সহ পঞ্চায়েত ও ব্লকের জনপ্রতিনিধিরা। এই সময় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা রোগীর আত্মীয় ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ‘দিদির দূতের’ কাছে বিস্তর অভিযোগ করেন।
এক রোগীর আত্মীয় এদিন বলেন, “ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেই জলের পরিষেবা। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চত্বরে বছর তিনেক আগে বসানো হয়েছিল আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের কল। বছর ঘুরতেই খারাপ হয়ে যায়। একবার সংস্কার করা হলেও ফের খারাপ হয়ে যায়। সেই থেকে জল বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।” রোগীর আত্মীয়দের আরও অভিযোগ, এখানে জল কিনে খেতে হয়। এছাড়া কোনও উপায় নেই। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেই কোনও বসার ছাউনিও, এই নিয়েও অভিযোগ জানান তাঁরা। এছাড়াও অভিযোগ, দীর্ঘ পাঁচবছর ধরে শৌচালয়ের বেহাল দশা। স্থানীয় BDO অফিসে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। তাই বিধায়কদের পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন রোগীর আত্মীয়রা।
এই বিষয়ে ‘দিদির দূত’ নির্মল ঘোষ বলেন, “এটা স্বাস্থ্য দফতরের অধীন। আমাদের নয়। যদিও সমস্যা সব জায়গায় আছে। সবার দাবি আমাদের শুনতেই হবে। পানীয় জলের কল বিকল হয়ে রয়েছে বলেও জানতে পেরেছি। যত দ্রুত সম্ভব তার ব্যবস্থা নেব।” এদিকে এই বিষয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের দাবি, BDO-কে বহুবার জানানো হয়েছে। ব্লক থেকেই করা হয়েছিল এই জলের কল। তাই এটার দায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নয়। স্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বরে আবর্জনা ছড়িয়ে থাকা নিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তরফে দাবি করা হয়, পঞ্চায়েত ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে এই সাফাইয়ের কাজ করে। সেই কাজ বন্ধ বলে পরিষ্কার করা হয়নি। যদিও এত সব ঝক্কির মধ্যে পড়ে শেষ পর্যন্ত উপযুক্ত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা, এমনই অভিযোগ উঠে আসছে তাঁদের দিক থেকে। তাই খুব তাড়াতাড়ি এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন রোগীর আত্মীয়রা।