সেই কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে এদিন বিকনার ডোকরা শিল্প ও রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য বিষ্ণুপুর সঙ্গীত ঘরানাকে বিশেষ খামের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো। আগামী দিনে ডাক বিভাগের হাত ধরে সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে বাঁকুড়ার এই শিল্পকর্ম ও সঙ্গীত ঘরানা। একই সঙ্গে বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) ঐতিহাসিক মন্দিরগুলিকে নিয়ে এই ধরনের কাজের ভাবনা ডাক বিভাগের আছে বলে তিনি জানান। ডাক বিভাগের এই উদ্যোগ বাঁকুড়ার এই শিল্পকে আরও বিশ্বজনীন করে তুলবে মত তাঁর। প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলার একাধিক ঐতিহ্যশালী খাদ্য, প্রতিষ্ঠা, ভাস্কর্যকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে ডাক বিভাগ। গত সেপ্টেম্বর মাসেই বর্ধমানের সীতাভোগ, মিহিদানার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের মোয়াকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার বিশেষ উদ্যোগ নেয় ভারতীয় ডাক বিভাগ।
গত বছর ভারতীয় ডাক বিভাগের বিশেষ খামে শোভা পায় বিষ্ণুপুরের বালুচরী শাড়ি। তবে শুধু বালুচরী নয়, একই সঙ্গে বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী টেরাকোটা শিল্পকেও ডাক খামে জায়গা দেওয়া জয়। বাঁকুড়ায় একটি প্রদর্শনী থেকে এ দু’টি খাম প্রকাশ করেন ডাক বিভাগের কর্তারা। এর আগেও বিষ্ণুপুরের শ্যামরায়ের মন্দির, শিল্পী যামিনী রায়ের শিল্পকর্ম নিয়ে ডাক টিকিট প্রকাশিত হয়েছে ডাক বিভাগের তরফে। পাঁচমুড়া ও বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী শিল্প এবং তার পাশাপাশি মাদুর ও পটচিত্র নিয়েও ডাকবিভাগ বিশেষ কভার তৈরি করেছে। এই বিশেষ খাম বাঁকুড়া মুখ্য ডাকঘর ও কলকাতা GPO-তে পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়।