নিখোঁজ কিশোরের পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে কোক ওভেন থানার পুলিশ। শেষে প্রীতমের বাড়ির খুব কাছে রেললাইন থেকে তাঁর ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। দেহ সাথে সাইকেল ও স্কুলের ব্যাগ উদ্ধার করে দুর্গাপুর জিআরপি। সেখান থেকে কিশোর মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের দাবি ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে প্রীতমকে। স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহত কিশোরের পাড়া-পড়শিদেরও একই দাবি। কিশোরের ক্ষতিবিক্ষত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর জিআরপি আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে দেহ পাঠায়।
কোকওভেন থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখন মৃত স্কুল ছাত্রের পরিবারের দাবি বেশ কয়েকদিন ধরে স্কুলে যেতে চাইছিলো না প্রীতম, গতকালও এক প্রকার জোর করে প্রীতমকে স্কুলে পাঠায় মা টুম্পা পোড়েল। পরিরার জানিয়ে পড়াশুনোর পাশাপাশি ছবি আঁকাসহ আরও অন্যান্য প্রতিভা ছিল প্রীতমের। কিশোরের মৃত্যুর পিছনে কী কারণ রয়েছে তা খুঁজে বের করা চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। কিশোরের পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, ‘এটা কোনওভাবেই আত্মহত্যার ঘটনা নয়। আত্মহত্যা করার হলে বাড়ি থেকেই বেরিয়েই করত। সারাদিন স্কুল করে বাড়ির এত সামনে এসে আত্মহত্যা করত না। লোকেশন দেখে পুলিশ ওকে খুঁজে বের করেছে। আমরা এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত চাই। এর পিছনে যাঁরা রয়েছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হোক।’
