কোনও রোগীকে হুইল চেয়ার করে, আবার কাউকে স্ট্রেচারে করে বা আত্মীয়রা কোলে করে নিয়ে যাচ্ছেন রোগীদের। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Malda Medical College & Hospital) ট্রমা কেয়ার ইউনিট চালু হলেও এখনও সিটি স্ক্যান ও ডিজিটাল এক্সরে (Digital X Ray) পরিষেবা চালু হয়নি। ফলে নিত্যদিন চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মুহুর্ষ রোগীদের। ট্রমা কেয়ার ভবন থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে বর্হিবিভাগ ভবনে রোগীদের নিয়ে আসতে হয়। সেখানে রয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Malda Medical College & Hospital) PPP মডেলের সিটি স্ক্যান ও ডিজিট্যাল এক্সরে (Digital X Ray) পরিষেবা। সেখান থেকেই ট্রমা কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের পরিষেবা নিতে হচ্ছে। যদিও আধুনিক ট্রমা কেয়ার ইউনিটে সমস্ত পরিকাঠামো রয়েছে। এই ভবনে রোগীদের সমস্ত পরিষেবা দেওয়ার কথা। বিভিন্ন পরিষেবা চালু হলেও ট্রমা কেয়ার ইউনিটের এখনও সিটি স্ক্যান ও ডিজিটাল এক্স-রে পরিষেবা চালু হয়নি।
মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (Malda Medical College & Hospital) সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী না থাকায় ট্রমা কেয়ার ইউনিটের
সিটি স্ক্যান ও ডিজিটাল এক্সরে পরিষেবা চালু করা যাচ্ছে না। এই ভবনে একটি আধুনিক সিটি স্ক্যান ও আধুনিক ডিজিটাল এক্সরে (Digital X Ray) মেশিন রয়েছে। ট্রমা কেয়ার ইউনিট চালু হলেও এখনও পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগ হয়নি। টেকনিশিয়ান না থাকায় চালু হচ্ছে না এক্সরে ও সিটি স্ক্যান পরিষেবা।
তবে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Malda Medical College & Hospital) নবনির্মিত ট্রমা কেয়ার ইউনিট থেকে বর্হি বিভাগ ভবনের দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটার। প্রতিদিন রোগীর আত্মীয়রা রোগীদের এক্সরে ও সিটি স্ক্যান করানোর জন্য ২০০ মিটার পথ ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে রোগীদের অনেক সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করছেন পরিবারের লোকেরা। যদিও রোগীদের সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তারা। অন্যান্য পরিষেবার মত ট্রমা কেয়ার ইউনিটে সিটি স্ক্যান ও এক্সরে (Digital X Ray) পরিষেবা চালুর দ্রুত আশ্বাস দিয়েছেন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায়। রোগীদের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা যত দ্রুত সম্ভব আমাদের ইউনিটের দুটি পরিষেবা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করছি। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে।”