তবে হাতে বিষের ইঞ্জেকশন কেন নিয়েছেন তিনি ? বসির বলেন, “আমার এই অনশন যাতে কেউ ব্যাঘাত না করে তার জন্যেই এটা হাতে নিয়েছি। এঁদের বিরাট ক্ষমতা। আমাকে যে কোনও সময় তুলে নিতে পারে। যতক্ষণ না ভাইজানকে মুক্ত করা হচ্ছে ততক্ষণ আমি বিক্ষোভ করে যাবে।” বসির জানিয়েছেন, যে কোনও মূহুর্তে তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যেতে পারে, সেরকম আশঙ্কা করছেন তিনি। জোর করে তুলে নিয়ে যেতে পারে বলেই তিনি বিষ ইঞ্জেকশন হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বলে জানান।অন্যদিকে, আজ বুধবার কলকাতায় নাগরিক মিছিলের ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ ১৮ আইএসএফ নেতাকর্মীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে এই মিছিলেন ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবস ও সরস্বতী পুজোর কথা মাথায় রেখেই আইএসএফের মিছিলে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ অন্যদিকে মিছিল করার ব্যাপারে অনড় ISF।
প্রসঙ্গত, শনিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ধর্মতলায় একটি সভার আয়োজন করেছিল আইএসএফ। আইএসএফের অভিযোগ, সেই সভায় যোগদান করার জন্য কলকাতা আসার পথে ভাঙরে তাদের দলের সমর্থকরা আক্রান্ত হন। তৃণমূল কর্মীরা নওশাদ সিদ্দিকির দলের সমর্থকদের মারধর করে বলে অভিযোগ তাদের। অপর দিকে আইএসএফের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে ভাঙরের তৃণমূল কর্মীরাও। ভাঙরের ঘটনার পর ধর্মতলায় দুপুর থেকেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে আইএসএফের কর্মী-সমর্থকেরা। সেখান থেকেই গ্রেফতার হন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।