Naushad Siddique: ‘ভাইজানের মুক্তি চাই…’, নওশাদের মুক্তির দাবিতে একা অবস্থানে ISF সমর্থক – isf member agitation for naushad siddique bail


ISF : গত শনিবার গ্রেফতার হয়েছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddique)। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর মুক্তির দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ এক আইএসএফ সমর্থকের। বিষের ইঞ্জেকশন হাতে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন আব্দুল বসির মিস্ত্রি নামে ওই আইএসএফ সমর্থক। পুলিশ যদি তাঁকে গ্রেফতার করতে আসে, তাহলে কী হবে ? নওশাদ অনুরাগীর স্পষ্ট জবাব, “হয় মরবো, না হয় মারবো।” জানা গিয়েছে, আব্দুল বসির মিস্ত্রির বাড়ি ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে। ভাইজান অর্থাৎ নওশাদ সিদ্দিকির মুক্তির দাবিতে ঘটকপুকুরে (Ghatakpukur) অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তিনি। এক হাতে রয়েছে তাঁর পোস্টার (Poster)। পোস্টারে লেখা – ‘ভাইজানের মুক্তি চাই।’ অন্য হাতে রয়েছে বিষের ইনজেকশন। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘটকপুকুরে নওশাদ সিদ্দিকির মুক্তির দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, অন্যায্যভাবে নওশাদকে আটক করে রাখা হয়েছে। তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়েই তিনি এই বিক্ষোভ শুরু করেছেন।

ISF : স্ত্রীকে নিয়ে কলকাতায় এসে পরে সভায় যোগ, মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত ISF সমর্থক
তবে হাতে বিষের ইঞ্জেকশন কেন নিয়েছেন তিনি ? বসির বলেন, “আমার এই অনশন যাতে কেউ ব্যাঘাত না করে তার জন্যেই এটা হাতে নিয়েছি। এঁদের বিরাট ক্ষমতা। আমাকে যে কোনও সময় তুলে নিতে পারে। যতক্ষণ না ভাইজানকে মুক্ত করা হচ্ছে ততক্ষণ আমি বিক্ষোভ করে যাবে।” বসির জানিয়েছেন, যে কোনও মূহুর্তে তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যেতে পারে, সেরকম আশঙ্কা করছেন তিনি। জোর করে তুলে নিয়ে যেতে পারে বলেই তিনি বিষ ইঞ্জেকশন হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বলে জানান।অন্যদিকে, আজ বুধবার কলকাতায় নাগরিক মিছিলের ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ ১৮ আইএসএফ নেতাকর্মীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে এই মিছিলেন ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবস ও সরস্বতী পুজোর কথা মাথায় রেখেই আইএসএফের মিছিলে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ অন্যদিকে মিছিল করার ব্যাপারে অনড় ISF।

Arjun Singh : ‘চক্রান্ত করা হচ্ছে…’ ISF-এর সভায় গণ্ডগোল নিয়ে মন্তব্য অর্জুনের
প্রসঙ্গত, শনিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ধর্মতলায় একটি সভার আয়োজন করেছিল আইএসএফ। আইএসএফের অভিযোগ, সেই সভায় যোগদান করার জন্য কলকাতা আসার পথে ভাঙরে তাদের দলের সমর্থকরা আক্রান্ত হন। তৃণমূল কর্মীরা নওশাদ সিদ্দিকির দলের সমর্থকদের মারধর করে বলে অভিযোগ তাদের। অপর দিকে আইএসএফের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে ভাঙরের তৃণমূল কর্মীরাও। ভাঙরের ঘটনার পর ধর্মতলায় দুপুর থেকেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে আইএসএফের কর্মী-সমর্থকেরা। সেখান থেকেই গ্রেফতার হন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *